স্থানীয় সময় দুপুর ১টা নাগাদ তাদের এজলাসে তোলা হয়।উভয়পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে বিচারক আগামী ১৭নভেম্বর অভিযুক্তদের ফের আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন।এদিন আদালতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর তরফে সাড়ে ৪হাজার পাতার যে Relied Upon Documents(RUD)-এর কপি জমা দেওয়া হয়েছিল,সেই কপি অভিযুক্তদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং অভিযুক্তরা তাতে স্বাক্ষরও করেন।সেক্ষেত্রে আগামী ১৭ নভেম্বর এই RUD এর কপি যাচাই করে অভিযুক্তরা আদালতে জানাবেন।ততদিন পর্যন্ত অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই কারাগারে থাকবেন।তবে এই সময়কালে প্রয়োজনে কারাগারে গিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন বলেও এদিন আদালত নির্দেশ দেয়।ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন,অভিযুক্ত প্রত্যেককেই আগামী ১৭নভেম্বর ফের আদালতে তোলা হবে এবং ততদিন পর্যন্ত তারা কারাগারেই থাকবেন এবং প্রয়োজনে ইডির কর্মকর্তারা কারাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন।
এদিন আদালতে প্রবেশের সময় গণমাধ্যমের কর্মীদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি পিকে হালদার বা তার সহযোগীরা।
যদিও ইডি সূত্রে খবর,এই মামলা আর দীর্ঘায়িত করতে চায় না তারা।সেক্ষেত্রে নতুন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়ারও পক্ষপাতী নয় তারা।
ফলে বিচার শুরু হলে ভারতীয় আইন অনুযায়ী, দোষী সাব্যস্ত হলে এই মামলায় সাত বছরের জেল হতে পারে অভিযুক্তদের।সেক্ষেত্রে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে পিকে হালদারসহ অভিযুক্তদের।ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী তাদের ফেরত পাঠানো হতে পারে।আর তাই যদি হয় তবে ভারতীয় আইনে সাজাপ্রাপ্ত পিকে হালদারের বাকি সাজার মেয়াদ বাংলাদেশে ভোগ করতে হবে।উল্লেখ্য,গত ১১জুলাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কলকাতার আদালতে চার্জশিট জমা দেয় ইডি।১০০পাতার ওই চার্জশিটে পিকে হালদারসহ ছয় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রয়েছে।এক্ষেত্রে কেবল প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-২০০২মামলায় ওই ছয় অভিযুক্তের নামে চার্জ গঠন করা হয়েছে।চার্জশিটে নাম রয়েছে তাদের দুটি সংস্থার নামও।এই মুহূর্তে অভিযুক্ত পিকে হালদারসহ ৫পুরুষ অভিযুক্ত রয়েছে প্রেসিডেন্সি কারাগারে,অন্যদিকে একমাত্র নারী অভিযুক্ত রয়েছেন আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে।
উল্লেখ্য,অশোকনগরসহ পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় অভিযান চালিয়ে গত ১৪মে পি কে হালদার-এর সাথেই গ্রেফতার করা হয় তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র,উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র,ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারকে।
দয়া করে এই পোস্টটি আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন,সকল সংবাদ পেতে পেজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন…