নিজস্বপ্রতিবেদক:- দুর্নীতি মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃফজলুল হককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক জনাব মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এর আগে আসামির আইনজীবীরা আদালতে জামিন আবেদন করেন। এসময় দুদকের আইনজীবী মোঃরফিকুর ইসলাম জুয়েল জামিনের বিরোধিতা করেন।শুনানি শেষে আসামির জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
জানা গেছে,১৯৯৭সালে বজলুল হক এম.এল.এস.এস.পদে রংপুর মেডিকেল কলেজে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ২০০৪সালে অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক,২০০৯সালে স্টোর কিপার এবং ২০১২সাল থেকে প্রধান(চ:দা:)হিসেবে পরিচালকের(স্বাস্থ্য)দপ্তর রংপুর বিভাগ এ কর্মরত রয়েছেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন’২০০৪এর ২৭(১)ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আতাউর রহমান সরকার বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যাল ঢাকা-১-এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে,তিনি দুই কোটি ৪০লাখ ১৩হাজার ২৯৪টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন।অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দুদক তার সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করে।পরে ২০১৯ সালের ৩০জুন তার নামীয় সম্পদ বিবরণী দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করেন।
দাখিল করা সম্পদ বিবরণী অনুসন্ধানকালে মোঃফজলুল হকের নিজ মালিকানায় রংপুর জেলার সদর উপজেলাধীন দেওডোবা মৌজায় একটি বিল্ডিং,একটি টিনসেড বাড়ি, রংপুর জেলার সদর উপজেলাধীন দেওডোবা বানিয়াপাড়া,মলাখাওয়ার পাথার,আলমনগর,দর্শনা, ফতেপুর ও পাইকার পাড়া এলাকায় প্রায় চার একর জমি,কুড়িগ্রাম জেলার কাশিপুর ইউনিয়নে জমিসহ স্থাবর সম্পদ,আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী এবং স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পায় দুদক।
এরমধ্যে দুই কোটি ৪০লাখ ১৩হাজার ২৯৪টাকার সম্পদ অর্জনের স্বপক্ষে আয়ের বৈধ কোনো উৎস সম্পদ বি দেখাতে পারেননি মোঃ ফজলুল হক।
সূত্র:-অনলাইন তোকদার নিউজ।
Copyright © 2015-2024:-www.tokdernews.com
সাহসিকতা•সততা•সাংবাদিকতা:-