অনলাইনডেস্ক:- স্বাভাবিকভাবে একজন ব্যক্তির বয়স অনুযায়ী কিডনির দাম নির্ধারণ হয়,এবং রোগীর অবস্থা,জরুরি এবং অতি জরুরি অবস্থার উপর ভিত্তি করে কিডনি দাম নির্ধারণ করা হয়।মোটকথা,শরীরের কোন অঙ্গের অথবা কিডনির কোন নির্দিষ্ট মূল্য হয় না।বাংলাদেশ কিডনি কেনাবেচা সম্পন্ন অবৈধ।
তবে বিভিন্ন হাসপাতালে এবং ডাক্তারদেরকে এই কিডনি কেনাবেচা করতে দেখা যায় অবৈধভাবে।শুধুমাত্র কালোবাজারে এবং চোরাকারবারী হিসেবে মানুষের কিডনি ক্রয় বিক্রয় হয়ে থাকে। সাধারণত মুমূর্ষ রোগীদের কাছ থেকে কালোবাজারি এবং চোরাকারবারী ব্যক্তিরা ২০থেকে ২৫লাখ এমন কি ৫০লাখ থেকে ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে।
কিন্তু ডোনারদের সর্বনিম্ন ২লক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ৫লক্ষ টাকা এবং কম বয়সী ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ ৭থেকে ৮লক্ষ টাকা দিয়ে থাকেন।এক কথায় বলতে গেলে প্রতারণা।তাই বিস্তারিতভাবে এই আলোচনা থেকে একটা কিডনির দাম কত টাকা হতে পারে তা জানতে পারবেন।তাই এই পোস্ট একদম শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত পড়ুন।
প্রতারকের চক্রের কাছ থেকে জানা যায়,মধ্যবয়সী ব্যক্তিদের কিডনির দাম একটু বেশি হয়ে থাকে।আর বেশি বয়স্ক ব্যক্তিদের কিডনির দাম মধ্যবয়স্ক ব্যক্তিদের তুলনায় কম হয়ে থাকে।যেমন ২০থেকে ২৬বছর বয়সী ব্যক্তিদের দাম ৭থেকে ৮লক্ষ টাকা।আবার ৩০থেকে ৪০বছর বয়সী ব্যক্তিদের কিডনির দাম দেওয়া হয়ে থাকে নূন্যতম ৪লক্ষ থেকে ৬লক্ষ টাকা।
তবে যে সকল রোগী কিডনি ক্রয় করতে চান তাদের কাছ থেকে এ সকল চক্র নূন্যতম ২০লাখকে ২৫লাখ টাকা দাবি করে থাকে।এমন কি কিছু কিছু রোগীর অবস্থা বুঝে প্রতারক চক্র ৫০লাখ থেকে ৫৫লাখ টাকা দাবি করে থাকে।এবং যে ব্যক্তি কিডনি বিক্রি করে থাকে অর্থাৎ ডোনার তাকে দেওয়া হয়ে থাকে ২লক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ৬থেকে ৮লক্ষ টাকা।
স্বাভাবিকভাবে একটা কিডনির দাম কত টাকা হয় তা নির্দিষ্ট করে বলা অসম্ভব।মানুষের অঙ্গ প্রতঙ্গের দাম অমূল্য।একজন রোগীর অবস্থা বুঝে কালোবাজারে এবং জোড়া কারবারি ব্যক্তিরা কিডনির দাম নির্ধারণ করে থাকেন।যদি কোন রোগী কিডনি ক্রয় করতে চান।
তাহলে রোগ নির্ণয় এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০থেকে ৫৫লাখ টাকা হতে পারে একটা কিডনির দাম। এবং সচরাচর রোগীদের কাছ থেকে ১৮থেকে ২০লক্ষ টাকা একটা কিডনির দাম নিয়ে থাকে।এবং যারা কিডনি বিক্রি করে থাকেন তাদেরকে দেওয়া হয় ৫থেকে ৮লক্ষ টাকা।
কিডনির রোগ জনিত সমস্যা বর্তমানে প্রচুর লক্ষ্য করা যায়।কিন্তু কিডনি বেচার জন্য সরকারিভাবে কোন বৈধতা নেই।তবে যে সকল স্থানে কিডনি ক্রয় বিক্রয় হয় সেটা অবশ্যই চোরাকারবারি এবং অবৈধ। তবে মানুষের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ পতঙ্গের দাম কোটি টাকার উপরে।যেখানে বাংলাদেশের খুব অল্প টাকা দিয়ে কিডনি ক্রয় করা যায় এবং বিক্রি করা হয়।
অসহায় গরিব মানুষের কাছ থেকে টাকার লোভ দেখিয়ে মানুষের কিডনি ক্রয় করে থাকেন খুবই অল্প দামে।অর্থাৎ নূন্যতম ২লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮লক্ষ টাকায় কিছু কিছু মানুষের কাছ থেকে কিডনি ক্রয় করে থাকেন।এবং সেই ২লাখ থেকে ৮লাখ টাকার কিডনি রোগীদের কাছ থেকে ২০থেকে ২৫লক্ষ টাকা এমনকি ৫০লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে থাকে।
যদি কোন ব্যক্তি কিডনি দান করতে চান এক্ষেত্রে মৃত মানুষের কিডনি দান করে দিতে পারেন।তবে অনেকে রয়েছেন মৃত মানুষের কিডনি বিক্রি করে থাকেন।যেটা একদমই দন্ডনীয় অপরাধ।তবে মৃত মানুষের কিডনি মূলত ডাক্তাররা অবৈধভাবে চুরি করে বিক্রি করে থাকেন।আর এই সকল কিডনির দাম ন্যূনতম কয়েক লাখ টাকা থেকে শুরু করে কয়েক কোটি টাকা হতে পারে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে কিডনি বিক্রি করা হয় অবৈধভাবে। ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাওয়া যায়,আবার চট্টগ্রামের বিভিন্ন হসপিটালেও বিক্রি করা হয়।মোটকথা বৈধভাবে কোন হাসপাতালে কিডনি বিক্রি করা হয় না।তবে বেশির ভাগই বাংলাদেশে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে অবৈধভাবে কিডনি বিক্রি করা হয়।কিন্তুু কোন হাসপাতালে বিক্রি করা হয় তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না খোঁজ করে দেখতে হবে।
আশা করতেছি এই পোস্ট থেকে ইতিমধ্যে একটা কিডনির দাম কত টাকা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।যেহেতু মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দাম নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।অর্থাৎ অবস্থাভেদে এ সকল কিডনির দাম নির্ধারিত হয়।তবে কিডনি কেনাবেচা নিঃসন্দেহে অবৈধ।তবে চাইলে আত্মীয়দের মধ্যে অবস্থিত রোগীদেরকে কিডনি দান করতে পারেন।এই পোস্ট আপনাদের কাছে উপকৃত মনে হলে অন্যদের মাঝে শেয়ার করুন,ধন্যবাদ।
সূত্র:-অনলাইন তোকদার নিউজ।
Copyright © 2015-2024:-www.tokdernews.com
সাহসিকতা•সততা•সাংবাদিকতা:-