অনলাইনডেস্ক:- আমাদের সরকার ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্মার্ট সরকার হবে,আমাদের অর্থনীতি স্মার্ট অর্থনীতি হবে,সমাজ ব্যবস্থা স্মার্ট হবে।
দেশের শস্য ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত বরিশালে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন,আজকে অবহেলিত বরিশাল আজ কোথায় আছে। বরিশাল কি উন্নত হয়েছে?এ সময় উপস্থিত জনতা দু’হাত তুলে বরিশালের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন,আজকে বরিশাল বিভাগে নৌবাহিনীর ঘাটি করেছি, সেনানিবাস করেছি,এলাকার উন্নয়নের জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হয়েছে।বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি,সেখানে সোলার প্যানলসহ কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছি। ভোলার গ্যাস সিএনজি করে ঢাকায় নিচ্ছি।ভবিষ্যতে বরিশালেও নিয়ে আসব যাতে আরও শিল্প কারখানা গড়ে ওঠে।
তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল কুয়াকাটায় চলে আসবে,সেখানে স্থাপন করা হবে যাতে দক্ষিণাঞ্চলের ইন্টারনেট নির্বিঘ্ন হয়।বরিশাল ছিল অন্ধকার।আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে,এখন প্রতিটি ঘরে আলো জ্বলছে।প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি।কথা দিয়েছিলাম কোনো ঘর অন্ধকার থাকবে না।কথা রেখেছি।আমরা দিন বদলের সনদ দিয়েছিলাম,এখন দিন বদলে গেছে।
ভাঙা থেকে বরিশাল-কুয়াকাটা এবং পায়রা পোর্ট পর্যন্ত ছয় লেনের রাস্তা তৈরি করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যেই আমাদের ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়ে গেছে।এই বরিশালে আর কোনো দুর্ভোগ থাকবে না।
এ সময় বরিশাল একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন,এরইমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি, মেরিন একাডেমি করে দিয়েছি,প্রতিটি নদীর ওপর সেতু করে দিয়েছি।
তিনি বলেন,বরিশাল ছিল শষ্য ভাণ্ডার।আবারও সেই সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই।এজন্য খাদ্য সংরক্ষণাগার করে দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের ফলে দক্ষিণাঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে,সেটা মাথায় রেখে ডেল্টা প্লান ২১০০পর্যন্ত বাংলাদেশের উন্নয়নের পরিকল্পনা আমি করে দিয়েছি।কাজেই এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।কারা পারবে?একমাত্র আওয়ামী লীগ পারবে।
এ সময় তিনি বলেন,দারিদ্রের হার ৪১ থেকে ১৮.৭ ভাগে নামিয়ে এনেছি।হতদরিদ্র ২৫.১ভাগ ছিল,তা ৫.৬ভাগে নামিয়ে এনেছি। ইনশাআল্লাহ এই বাংলাদেশের হতদরিদ্র থাকবে না।আমরা গৃহহীণদের ঘর করে দিচ্ছি।প্রতিটি মানুষ ঘর পাবে,জমি পাবে। কেউ গৃহহীন থাকবে না।
বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে দেশকে সন্ত্রাস,জঙ্গিবাদ, দুর্নীতির অভয়ারণ্য করেছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন,ওই সময় ছিল বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে অন্ধকার যুগ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,৯৬থেকে থেকে ২০০১সালে দেশ যত এগিয়েছিল,তারপর তার থেমে গেল।চক্রান্ত করে ২০০১এ আমাদের হারানো হয়।এরপর যে অথ্যাচার শুরু হলো।এই বরিশাল থেকে ২৫হাজার জনগণ আমার কোটালীপাড়া গোপালগঞ্জে আশ্রয় নিয়েছিল।কেউ ঘরে থাকতে পারত না। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ হাত কাটা,পা কাটা,চোখ তোলা,হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে হাড়গুড়ো করে মারা,ঘরবাড়ি দখল করা,মেয়েদের ওপর পাশবিক অত্যাচার করা,ফাহিমা-মহিমা কতো মানুষ আত্মহত্যা করেছে।এইভাবে তাদের অত্যাচার চলেছিল।
২০০১থেকে ২০০৬ছিল বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে অন্ধকার যুগ।বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন না হলেও ওই বিএনপি ক্ষমতায় থেকে তাদের ভাগ্য গড়েছিল।
তিনি বলেন,বিএনপি-জামায়াতের সময়ে সমস্ত দেশের গ্রেনেড হামলা বোমা হামলা।এমনকি আমার ওপর পর্যন্ত গ্রেনেড হামলা হয়েছিল।আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বাঁচিয়ে দিয়েছিল।আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী আমাদের মানবঢাল করে সেদিন রক্ষা করেছিল।এই বাংলাদেশকে তারা একটা সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ দুর্নীতির অভ্য়ারণ্য করেছিল।প্রধানমন্ত্রী তার জনসভার শেষ দিকে বরিশাল বিভাগের নৌকার প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে বরিশালবাসীর কাছে ভোট চান।
Copyright © 2015-2024 tokdernews.com