অনলাইনডেস্ক:- প্রতীক বরাদ্দ হতে এখনো কয়েকদিন বাকি। কিন্তু এর আগেই নির্বাচনি মাঠে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে।আওয়ামী লীগসহ বেশ কিছু দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নানা কৌশলে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।মতবিনিময় সভা,বিজয় দিবসের আলোচনা,দোয়া মাহফিল,রোগী দেখতে যাওয়াসহ নানা কৌশলে ভোটের মাঠে নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা।প্রকাশ্যে এসব কর্মসূচি চললেও যেহেতু অনানুষ্ঠানিক প্রচারণা সেক্ষেত্রে কমিশনও এতে আপত্তি করছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের পর যেসব প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হয়েছে তারা এরপরই মাঠে নেমে পড়েছেন।
এসব প্রচারণায় আনুষ্ঠানিক ভোট চাওয়ার ব্যাপার না থাকলেও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে দোয়া চাইছেন প্রার্থীরা।আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা প্রচারণায় এগিয়ে।
নেতা-কর্মী সমর্থকদের নিয়ে সংসদীয় সীমানার এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা।সহযোগী সংগঠনগুলোও তাদের নিয়ে আয়োজন করছে নানা অনুষ্ঠান।
মূল দলের বর্ধিত সভাসহ সহযোগী সংগঠনগুলোও প্রার্থীদের সমর্থনে নানা সভাসমাবেশ আয়োজন করছে।চট্টগ্রাম-১আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহবুব উর রহমান প্রায় প্রতিদিনই নির্বাচনি এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
তবে তিনি স্থানীয় নেতা-কর্মীদের না নিয়ে একা একা নির্বাচনি এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন।প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে ঘুরে ঘুরে মানুষের খোঁজখবর নিচ্ছেন।একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনও প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর নির্বাচনি এলাকার মানুষের সঙ্গে দেখা সাক্ষাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।জানতে চাইলে মাহবুব উর রহমান বলেন,এগুলো শুধুই কুশলাদি বিনিময়ের অংশ।
এসবের সঙ্গে ভোটের কোনো সম্পর্ক নেই।প্রতীক বরাদ্দ পেলে আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামব।বিভিন্ন আসনে আওয়ামী ঘরানার স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও নানা আয়োজনের মাধ্যমে ভোটারদের কাছে থাকার চেষ্টা করছেন।চট্টগ্রাম-১০আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র মনজুর আলম প্রায় প্রতিদিনই মসজিদে কিংবা নিজের বাড়িতে মুসল্লি,সনাতনী সম্প্রদায়,সাধারণ মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন।