অনলাইনডেস্ক:-নভেম্বরের শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করার পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন(ইসি)।এরপর মধ্য নভেম্বরে ভোটের তারিখ তথা নির্বাচনি সূচি ঘোষণা করবে কমিশন।তবে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের দিন নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার তারিখও জানিয়ে দিতে পারে কমিশন।আর সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ বা জানুয়ারির শুরুতে।
ইসির কর্মকর্তারা বলছেন,আগামী ৫নভেম্বর দুই আসনের উপনির্বাচন রয়েছে।উপনির্বাচন শেষে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের চিন্তা করা হচ্ছে।এরপর রিটার্নিং অফিসার নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকার কাজ গুছিয়ে আনলে নির্বাচন কমিশন ভোটের দিন-তারিখ (সময়সূচি)ঘোষণা করবে।রিটার্নিং অফিসার কমিশনের নির্ধারিত নির্বাচনি সূচির একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবেন।এ জন্য ৫থেকে ৬নভেম্বর রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ হলে,নভেম্বরের মাঝামাঝিতে ইসি ভোটের দিন-তারিখ ঘোষণা করবে।
এদিকে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা নিয়েছে ইসি।এ জন্য নভেম্বরের শুরুতে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের পরিকল্পনা থেকেই তফসিল নিয়ে সিরিজ বৈঠকে বসছে কমিশন। নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক করণীয় ঠিক করতে আজ ৩০অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,সেনাবাহিনী, পুলিশ,বিজিবির শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠকে ডেকেছে ইসি,আজ বেলা ১১টায় নির্বাচন ভবনে এ বৈঠকে হওয়ার কথা রয়েছে।এরপরই ১নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগ,মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় সভাও ডেকেছে ইসি।এ ছাড়া ২ ও ৩নভেম্বর ডিসি-এসপিদের দ্বিতীয় ধাপের প্রশিক্ষণ হওয়ার কথা রয়েছে।আগেই এই তারিখ ছিল ২৮ ও ২৯অক্টোবর।
তফসিল ঘোষণার অনুকূল পরিবেশ আছে-ইসি সচিব : নির্বাচন কমিশন সচিব মোঃজাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, তফসিল ঘোষণার অনুকূল পরিবেশ আছে। সংবিধানের বিধান অনুযায়ী মেয়াদপূর্তির পূর্বের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।নির্বাচন কমিশন সব কার্যক্রম সম্পন্ন করছেন।গতকাল বেলা ১১টায় আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সম্মেলনকক্ষে ভারত,মালদ্বীপ,শ্রীলঙ্কা, নেপালের নির্বাচন কমিশনার এবং ইলেকশন মনিটরিং ফোরামসহ ৯জন প্রতিনিধির সঙ্গে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।বৈঠকে সিইসিসহ চারজন নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।বৈঠক শেষে সচিব এসব কথা বলেন।
ইসি জানিয়েছে,ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের ব্যানারে পাঁচজন বিদেশি অতিথিসহ একটি প্রতিনিধি দল কমিশনের কাছে আগেই সময় চেয়েছিল। প্রতিনিধি দলে ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার,নেপালের একজন সাবেক নির্বাচন কমিশনারসহ মালদ্বীপ,শ্রীলঙ্কার দুজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নেপালের একজন নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।
ইসি সচিব বলেন,তাদের দেশে নির্বাচন পদ্ধতি কীভাবে কাজ করে,আমাদের নির্বাচন কমিশন কীভাবে কাজ করে-বৈঠকে মূলত এ তথ্যের আদান-প্রদান হয়েছে।উনারা কিছু প্রশ্নের মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কিত বিষয় জানতে চেয়েছিলেন। কমিশনের পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য নির্বাচন কমিশনার তাদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তাদের কাছে কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছিল।এর মধ্যে একটি হচ্ছে-তাদের দেশগুলোতে কীভাবে নির্বাচন ব্যবস্থা চালু আছে।
তিনি আরও বলেন,মতবিনিময়ে শুধু তাদের এবং আমাদের প্রসিডিউরের আদান-প্রদান হয়েছে।সেসব দেশে নির্বাচন কীভাবে হয় আমরা জানতে পেরেছি।
সেখান থেকে এডাপ্টেশনের যদি সুযোগ থাকে, তাহলে কমিশন তানেবে।
সাহসিকতা•সততা•সাংবাদিকতা:-
সকল সংবাদ পেতে ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন…