শুভ জন্মদিন,তোমার কীর্তির চেয়ে তুমি যে মহৎ,হে মহামানব।তোমার কীর্তির চেয়ে তুমি যে মহৎ/তাই তব জীবনের রথ/পশ্চাতে ফেলিয়া যায় কীর্তিরে তোমার/বারম্বার।
যদি বলি আকাশ কত বড় কিংবা সমুদ্র কত বিশাল,তার উত্তর দেওয়া যেমন কঠিন,তেমনি মানুষ হিসেবে তিনি কত বড় কিংবা তার কর্ম কত মহৎ-এসবের উত্তর দেয়াও সত্যিই দুরূহ।
আকাশের মতো উদার আর সমুদ্রের মতোই বিশাল ছিল তার হৃদয়ের ঔদার্য।আর তার কর্মই তাকে করেছে মহিমান্বিত।
আজীবন সংগ্রামী বঙ্গবন্ধুর যখন জন্ম হয় তখন ছিল ব্রিটিশ রাজত্বের শেষ অধ্যায়।গ্রামের স্কুলে তাঁর লেখাপড়ার হাতেখড়ি।১৯২৭সালে শেখ মুজিব গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। নয় বছর বয়সে ১৯২৯সালে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখানে ১৯৩৪সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।১৯৩৭সালে গোপালগঞ্জ মাথুরানাথ ইনস্টিটিউট মিশন স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। কিশোর বয়সেই বঙ্গবন্ধু সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে তৎকালীন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে বঙ্গবন্ধু প্রথমবারের মতো গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করেন।এরপর থেকে শুরু হয় তার বিপ্লবী জীবন।গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করার পর তিনি কলকাতার ইসলামীয়া কলেজে(বর্তমান মাওলানা আজাদ কলেজ) ভর্তি হন।ওই কলেজ থেকে সক্রিয়ভাবে তিনি ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন।১৯৪৭সালে অর্থাৎ দেশবিভাগের বছর বিএ ডিগ্রি লাভ করেন।পাকিস্তান-ভারত পৃথক হয়ে যাওয়ার পর শেখ মুজিব পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন।১৯৪৮সালের ৪জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা করেন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ যার মাধ্যমে তিনি উক্ত প্রদেশের অন্যতম প্রধান ছাত্রনেতায় পরিণত হন।তিনি ১৯৪৯সালে তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগের পূর্ব পাকিস্তান শাখার যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হন।১৯৫৩সালে তিনি পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৫৪সালে যুক্তফ্রন্টের টিকিটে ইস্ট বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হন।
বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আজীবন সোচ্চার এই অবিসংবাদিত নেতাকে বহুবার কারাবরণ করতে হয়।তিনি ১৯৫২সালের ভাষা আন্দোলন,১৯৫৪সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন,১৯৫৮সালের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন,১৯৬৬সালের ৬দফা ও পরবর্তীতে ১১দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এবং বঙ্গবন্ধু উপাধি লাভ করেন।তার সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ধাপে ধাপে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে থাকে।১৯৭০সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জিত হলেও তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বাঙালি জাতির ওপর নানা নির্যাতন শুরু করে।
বঙ্গবন্ধু একাত্তরের ঐতিহাসিক ৭মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।২৫মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর গণহত্যা শুরু করলে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং তার নেতৃত্বে ১৯৭১সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়।বঙ্গবন্ধুকে সেই রাতে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে সামরিক আদালতে বিচার করা হয়।
এদিকে তারই নির্দেশিত পথ ও নেতৃত্বে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৯৭১সালের ১৬ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্যদিয়ে সূচিত হয় বাঙালির বিজয়।বিশ্ব মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।বিংশ শতাব্দীতে নির্যাতিত,নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করে যারা বিশ্বনন্দিত নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাদের অন্যতম।সাম্য,মৈত্রী,স্বাধীনতা,গণতন্ত্র ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিরামহীন সংগ্রামে অবদান রাখার জন্য তিনি বিশ্ব শান্তি পরিষদের জুলিওকুরি পদকে ভূষিত হন।১৯৭৫সালের ১৫আগস্ট রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমন্ডির বাসভবনে কতিপয় বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ শাহাদাতবরণ করেন।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উদযাপনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম তাঁর জীবন,কর্ম ও আদর্শ সম্পর্কে জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আগামীতে জাতিগঠনে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
সকল শিশু-কিশোরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়ার উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রতিনিধি ও সাবেক সিনিয়র সচিব মো:শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন,রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু ছিলেন নীতি ও আদর্শের প্রতীক।দেশ ও জনগণের কল্যাণ ও অধিকার আদায়ে জীবনভর সংগ্রাম করে গেছেন।বঙ্গবন্ধু শিশুদের খুবই ভালোবাসতেন।তিনি জানতেন সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে হলে নতুন প্রজন্মকে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধু ১৯৭১সালের ৭মার্চ রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশে বজ্রকণ্ঠে যে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন তা ছিল মূলত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ।বাঙালির আবেগ ও আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে তিনি বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন,এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,যা ছিল মূলত স্বাধীনতার ডাক।তিনি বলেন,ঐতিহাসিক ভাষণের সেই ধারাবাহিকতায় ২৬মার্চ ১৯৭১জাতির পিতা ঘোষণা করেন বাঙালি জাতির বহু কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
© All rights Reserved © 2022 ★★
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত এই ওয়েবসাইটি www.tokdernews.com বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পোর্টাল।নির্ভীক,অনুসন্ধানী, তথ্যবহুল ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার অঙ্গীকার নিয়ে অনলাইন নিউজ পোর্টালটি তার কার্যক্রম শুরু করেছে,www.tokdernews.com 2020সাল থেকে অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে রিয়েল টাইম নিউজ আপডেট প্রদান করেছে।এটি পূর্ববর্তী সংবাদের সংরক্ষণাগার এবং নির্দিষ্ট সংবাদ আইটেমগুলির মুদ্রণের সুবিধাও প্রদান করে।অনলাইন নিউজ পোর্টাল থেকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ এবং সারা বিশ্বের সর্বশেষ খবর এবং শীর্ষ ব্রেকিং শিরোনামগুলি সহজেই খুঁজে পেতে পারেন।www.tokdernews.com বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল,বিনোদন, জীবনধারা,বিশেষ প্রতিবেদন,LIVE TV,রাজনীতি,অর্থনীতি, সংস্কৃতি,শিক্ষা,তথ্য প্রযুক্তি,স্বাস্থ্য,খেলাধুলা, কলাম এবং বৈশিষ্ট্য সহ 25/10 আপডেট করছে।সংবাদ ভিত্তিক সাইটটি দেশের ঐতিহ্যবাহী সংবাদপত্রের সমস্ত উপাদান দিয়ে সমৃদ্ধ।অনলাইন নিউজ পোর্টালের জন্য একদল তরুণ সাংবাদিক কাজ করছেন।www.tokdernews.com সারা বিশ্বের বাংলা ভাষার মানুষের সাথে সেতুবন্ধন তৈরি করার চেষ্টা করছে এবং দেশের অনলাইন নিউজ পোর্টালে একটি নতুন মাত্রা তৈরি করতে চায়।