যাত্রী সেজে অটোরিকশা ছিনতাই করতে গিয়ে পুরোচক্রকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা বিভাগ

যাত্রী সেজে অটোরিকশা ছিনতাই করতে গিয়ে পুরোচক্রকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা বিভাগ

অনলাইনডেস্ক:- পুলিশের যাত্রী সেজে অটোরিকশা ছিনতাই করতে গিয়ে পুরোচক্রকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা বিভাগ।রাজধানীর দক্ষিণখান থানার ক্লুলেস একটি হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনসহ গুম ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত একটি চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা-উত্তরা বিভাগ।যারা যাত্রী সেজে অটোরিকশা ছিনতাই করতো বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার(গোয়েন্দা)মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন-মো:খালেদ খান শুভ,মো:টিপু,মো: হাসানুল ইসলাম ওরফে হাসান,মো:জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল মজিদ ও মো:সুমন।তাদের কাছ থেকে একটি সুইস গিয়ার,একটি ঢালাই পাথর খণ্ড,ভিকটিম মোস্তফার ব্যবহৃত অটোরিকশা এবং একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

শনিবার(১৪জানুয়ারি)দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন,শুক্রবার ও শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাসহ মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের বিমান বন্দর জোনাল টিম।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন,ভিকটিম মো:মোস্তফা গত ৭ডিসেম্বর রাতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালানোর উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়।পরবর্তীতে কোথাও ভিকটিমের সন্ধান না পাওয়ায় ভিকটিমের মা দক্ষিণখান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।পরে ১৭ডিসেম্বর ভিকটিমের মা লোক মারফত জানতে পারেন,দক্ষিণখান থানার আসিয়ান সিটির নিজস্ব ফাঁকা প্লটে একটি অজ্ঞাতনামা মৃতদেহ পড়ে আছে।স্বামীসহ তিনি সেখানে গিয়ে ছেলে মোস্তফাকে শনাক্ত করেন।

ওই ঘটনায় মোস্তফার মা বাদী হয়ে দক্ষিণখান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন,মামলাটি গোয়েন্দা-উত্তরা বিভাগের বিমানবন্দর জোনাল টিম ছায়া তদন্ত শুরু করে।তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের শনাক্ত করা হয়। এরপর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাসহ মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

অটোরিকশা ছিনতাই কৌশল সম্পর্কে হারুন অর রশীদ বলেন,গ্রেফতারকৃতরা দুটি ধাপে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের কাজ সফল করতো।শুভ,টিপু ও হাসানুল তাদের টার্গেটকৃত অটোরিকশার যাত্রী সেজে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা নিয়ে আসতো।পরে ছিনতাইকৃত অটোরিকশা জাহাঙ্গীর,মজিদ ও সুমনের কাছে দিত।তিনজন এমনভাবে বিক্রির কাজটি করতো কেউ যাতে সন্দেহ করতে না পারে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও জানায়,শুভ,টিপু ও হাসানুল ইসলাম গত ২৫ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর যাত্রী সেজে ব্যাটারিচালিত অপর একটি অটোরিকশা চালককে অটোরিকশাসহ গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানার পূর্বাচলের ২৫নং সেক্টরের নির্মাণ স্থানে নিয়ে শুভ‘র ধারালো ছবি দিয়ে আঘাত করে অটোরিকশার চালককে হত্যা করে তার লাশ রোডের পাশে ড্রেনে ফেলে অটোরিকশা নিয়ে যায়।এই ঘটনায় গাজীপুরের কালিগঞ্জ থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়।এছাড়া ডিএমপির বিভিন্ন থানা ও ঢাকার আশপাশের অনেক থানায় হত্যা,গুম ও ছিনতাই ঘটনায় আরও মামলা রয়েছে।এসকল ঘটনায় তারা জড়িত কিনা,তা ডিবি পুলিশ খতিয়ে দেখবে। গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।