প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ১০, ২০২৪, ১০:১০ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ১৩, ২০২২, ২:৪৯ এ.এম
নঈম নিজাম বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি পারবেন আগামীর অস্থিরতা সামাল দিতে
অনলাইন ডেস্ক:- বাংলাদেশে অতীতেও ছিল।এখনো আছে।এর চেয়ে অনেক ভয়াবহ সময় আমরা অতিক্রম করেছি।পুরনো দিনে যাব না।গত ১৪বছরের ইতিহাসের দিকে তাকান।২০০৮সালে ভোটে জেতার পর সবচেয়ে বড় ষড়যন্ত্র ছিল বিডিআর বিদ্রোহ।টার্গেট ছিল দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা।সেই চক্রান্ত শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন হতে দেননি।নিজের রাজনৈতিক সহকর্মীদের নিয়ে সবকিছু সামাল দিয়েছেন।২০১৩ ও ১৪সালে অনেক আওয়ামী লীগারকে দেখেছি ভীত হতে।লেজ গুটিয়ে এলাকা ছাড়তে।অনেক এমপি সাহেব এলাকায় যাননি।একজন শেখ হাসিনা তখনো ছিলেন দৃঢ়চেতা।নিজের অবস্থান থেকে এক সেকেন্ডের জন্য সরেননি।বিএনপির আগুন-সন্ত্রাসের জবাব দিয়ে কঠিন রাজনীতি সামলিয়েছেন।কোনো কিছুর তোয়াক্কা করেননি।একক বলিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতা ধরে রেখেছেন।উন্নয়নের রাজনৈতিক দর্শনকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে নিয়েছেন দেশকে।মানুষের মাঝে আশার আলো তৈরি করেছেন।৮১সালের পর থেকে অনেক ঝড় সামলিয়েছেন।২১আগস্টের গ্রেনেড হামলা থেকে আল্লাহর রহমতে রক্ষা পেয়েছিলেন।ওয়ান-ইলেভেনের পর কারাবরণ করেছেন।কারাগারে বসেই পরিকল্পনা নিয়েছেন কীভাবে আগামীর বাংলাদেশ চালাবেন।তিনি জানতেন ফখরুদ্দীন-মইনের অপরিকল্পিত অগোছানো সরকার টিকবে না।তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভোটে তিনি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিলেন।এরপর টানা ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড গড়েছেন।
একদিনের জন্যও বসে থাকেননি।কাজ করেছেন। আগামীকে ঘিরে নিচ্ছেন নতুন পরিকল্পনা।শুনছি এই ডিসেম্বরে দলে অনেক চমক আনবেন।থাকবে আগামীর মনোনয়নে ব্যাপক পরিবর্তন।উন্নয়নমূলক কাজগুলো দৃশ্যমান করবেন।এক বছরের ভিতরে উদ্বোধন করবেন বড় সব প্রকল্প।
দীর্ঘ সময় একটি দল ক্ষমতায় থাকলে অনেক কথা হয়। আলোচনা,সমালোচনা হয়।গুজবে কান পাততে অনেকের মজা লাগে।সত্য সবার কাছে কঠিন মনে হয়।অতীতে চুন খেয়ে অনেকে মুখ পুড়িয়েছেন।তাই দই দেখে মন খারাপ করেন।জাতীয় নির্বাচনের এক বছর বাকি।এত আগে আগাম কল্পনার কিছু নেই।সময় হলে দেখা যাবে দেশ কোন দিকে যাচ্ছে।ভোটের বাক্স কোনমুখী হচ্ছে।শেখ হাসিনার নতুন বার্তা কোন দিকে যাচ্ছে।এত তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হলে বিরোধী দলের চলবে কীভাবে?বিএনপির জনসভায় মানুষ যোগ দিচ্ছেন।তাদের নেতা-কর্মীরা কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন।এর অর্থ এই নয় এখনই বাতাসে কিছু ঘটবে।গণতান্ত্রিক কাঠামোতে সরকার পরিবর্তনের পথ একটি,তা হলো ভোট।সবাইকে আগামী ভোটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।বিএনপির এক নেতাকে প্রশ্ন করলাম,১০ডিসেম্বর কী করবেন?জবাবে সেই নেতা বললেন,ঢাকায় মহাসমাবেশ করব।তারপর ঘোষণা দেব নতুন কর্মসূচি।ভোটের আগে দল গোছাতেই আমাদের সমাবেশ।পছন্দ হলো এই উত্তর।আবার জানতে চাইলাম,তাহলে এত আতঙ্ক তৈরি করছেন কেন?সেই নেতা বললেন,আতঙ্ক আমরা তৈরি করছি না।সরকারি মহল করছে।
তারা ছড়িয়ে দিচ্ছে উত্তেজনা।আমরা চাই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে বাড়ি যেতে।এবার বললাম,আপনারা নাকি ১০ডিসেম্বর রাজপথে অবস্থান শুরু করবেন?জবাবে সেই নেতা বলেন,এই গল্পও সরকারি দলের।আমাদের নয়।তারা গল্প ছড়িয়ে আমাদের কর্মীদের হয়রানি করতে চায়।নিজেরা গাড়ি পুড়িয়ে বানচাল করতে চায় স্বাভাবিক পরিবেশ।বিএনপির আরও একাধিক নেতা একই কথা বললেন।বিএনপির সিনিয়র নেতারাও বলছেন,তারা ভোটমুখী রাজনীতি করছেন।ঝামেলা চান না।আমরাও চাই রাজনীতিতে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ফিরে আসুক।সুস্থধারার রাজনীতি গড়ে উঠুক,সরকারি দল ও বিরোধী দলে ভালো সম্পর্ক এবং রাজনীতির স্বাভাবিক পরিবেশ থাকুক।অসুস্থ ধারা কারও কাম্য নয়।মানুষ অরাজকতার রাজনীতি দেখতে চায় না।সন্ত্রাস,নৈরাজ্য,হরতাল-অবরোধের ধ্বংসাত্মক পরিবেশ প্রত্যাশা করে না।দেশের অর্থনীতিকে নতুন মাত্রা দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
বিশ্বের এক কঠিন পরিস্থিতির মাঝেও তিনি আজ বাংলাদেশকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়েছেন।এই ভিতকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেওয়া যাবে না।এ অবস্থান থেকে আর পেছনে ফেরা যাবে না।আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।করোনার পর যুদ্ধে অর্থনীতির অনেক ক্ষতি করেছে।সেই ক্ষতি সম্পূর্ণরূপে কাটাতে হবে।নতুন কোনো অস্থিরতা,অস্থিতিশীলতার ভার বহনের ক্ষমতা এই দেশের নেই।
অফিস কার্যালয়ঃ- মেসার্স তোকদার বস্ত্রালয়--প্রেসক্লাব পীরগাছা,উপজেলা:-পীরগাছা,জেলা:-রংপুর। মোবাইল:০১৭১-০৮৭০৪২০,০১৭২-৭০২০০৩৫ ই-মেইল :tokdernews@gmail.com