দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ'ইত্যাদি'খ্যাত গায়ক আকবর।কিডনি জটিলতাসহ বেশকিছু রোগে ভুগছেন তিনি।তার দুই কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে।আর কিডনির অবস্থা খারাপ হওয়ায় শরীরে পানি জমেছিল।পানি জমার কারণে আকবরের ডান পা নষ্ট হয়ে গেছে।যার ফলে তাঁর পা কেটে ফেলে দেয়া হয়েছে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর মেয়ে।আজ রবিবার বিকেলে অস্ত্রোপচার করে তার ডান পা কেটে ফেলা হয়েছে।আকবরের ফেসবুক থেকে এক স্ট্যাটাসে তার মেয়ে জানিয়েছে,আব্বুর অপারেশন শেষ হয়েছে।আব্বুর ডান পা কেটে ফেলে দেয়েছে।খুব কষ্ট হচ্ছে আমার।আব্বুর দিকে আমি তাকাতে পারছি না।আমি কিছুতেই মানতে পারছি না আমার আব্বুর পা নেই।আল্লাহ তুমি আমাদের সাথে এমন কেন করলে?সবাই আব্বুর জন্য দোয়া করবেন।জানা যায়,গেলো ১০অক্টোবর থেকে রাজধানীর রামপুরার বেটার লাইফ হাসপাতালে ভর্তি আছেন আকবর।রবিবার বিকেলে সেখানেই আকবরকে অপারেশন থিয়েটারে(ওটি)নেওয়া হয়।এরপর ডান পা কেটে ফেলা হয়।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসায় সহযোগিতা করছে।আকবরের চিকিৎসার দায়িত্বে আছেন অধ্যাপক ডা:সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ।এর আগে,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চলেছিল আকবরের চিকিৎসা।দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকার কারণে আকবরের চিকিৎসার খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন আকবরের স্ত্রী।এর জন্য ধার-দেনা করার পাশাপাশি ঘরের আসবাবপত্রও বিক্রি করতে হয়েছে তাকে।আকবরের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দেন,সেই অনুদানের অর্থ থেকে থেকে প্রতি মাসে ১৬হাজার টাকা সুদ পান আকবর।সেই টাকাতেই এতদিন আকবরের চিকিৎসা চলেছে।এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে কাছের মানুষরাও সহযোগিতা করেছেন।গায়ক হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার আগে যশোরে রিকশা চালাতেন আকবর।খুলনার পাইকগাছায় জন্ম হলেও আকবরের বেড়ে ওঠা যশোরে।পরিবার নিয়ে বর্তমানে ঢাকার মিরপুরে পরিবার নিয়ে বাসা ভাড়া করে থাকেন আকবর।২০০৩সালে যশোর এম এম কলেজের একটি অনুষ্ঠানে গান গেয়েছিলেন আকবর।সেই গান শুনে মুগ্ধ হয়ে বাগেরহাটের এক ব্যক্তি হানিফ সংকেতের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে চিঠি লিখে এই গায়কের কথা জানান।এরপর ইত্যাদি কর্তৃপক্ষ আকবরের সঙ্গে যোগাযোগ করে।ওই বছর ইত্যাদিতেকিশোর কুমারের একদিন পাখি উড়েগানটি আলোচনায় নিয়ে আসে আকবরকে।পরে তোমার হাত পাখার বাতাসে গানটিও জনপ্রিয়তা এনে দেয় এই শিল্পীকে।