মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো:মকবুল হোসেনকে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।রোববার(১৬অক্টোবর)তাকে অবসর দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।ইনডিপেনডেন্ট টিভি,জাগোনিউজ ও সময় টিভি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়,তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো:মকবুল হোসেনকে সরকারি চাকরি আইন,২০১৮এর ধারা ৪৫অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান করা হলো।জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।আইনের ৪৫ধারায় বলা হয়েছে,কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ২৫(পঁচিশ)বৎসর পূর্ণ হইবার পর যে কোনো সময় সরকার,জনস্বার্থে,প্রয়োজনীয় মনে করিলে কোনোরূপ কারণ না দর্শাইয়া তাহাকে চাকরি হইতে অবসর প্রদান করিতে পারিবে।তবে শর্ত থাকে যে,যেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ,সেইক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে।এবিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ অবসরে পাঠানোর বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন,তাকে অবসর দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।এটা জেনেছি,কিন্তু কেন অবসর দেওয়া হলো,সেই বিষয়ে আমি অবহিত নই।অন্যদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ,পদোন্নতি ও প্রেষণ(এপিডি)অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো:আব্দুস সবুর মন্ডল বলেন, কারও চাকরির মেয়াদ ২৫বছর হলে সরকার যে কাউকে অবসরে পাঠাতে পারে।আর তার চাকরির মেয়াদ কয়েক মাস ছিল।মকবুল হোসেন গত বছরের ৩১মে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন।মো:মকবুল হোসেন পিএএ ২০২১সালের ৩১মে সচিব হিসেবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন।এ পদে যোগদানের আগে তিনি যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।এছাড়া তিনি মাঠ প্রশাসনে সহকারী কমিশনার,সহকারী কমিশনার(ভূমি),প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট,উপজেলা নির্বাহী অফিসার,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক,জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা,পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক এবং জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য(ভূমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা)হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।এর আগে তিনি যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।মকবুল হোসেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।মকবুল হোসেন বিসিএস(প্রশাসন)ক্যাডারের ১০ম ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৯১সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন।তিনি তাঁর চাকরি জীবনের বেশির ভাগ সময় মাঠ প্রশাসনে কর্মরত ছিলেন।মাঠ প্রশাসনে সহকারী কমিশনার,সহকারী কমিশনার(ভূমি),প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট,উপজেলা নির্বাহী অফিসার,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক,প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা,জেলা পরিষদ,পরিচালক,পরিবেশ অধিদপ্তর এবং সদস্য(ভূমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা)জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।