মোতালেব প্লাজার টেকনিশিয়ানরা নকল মোবাইল ফোন তৈরি করছেন চীন থেকে যন্ত্রাংশ এনে

ছবি:দৈনিক তোকদার নিউজ পোর্টাল থেকে,মোতালেব প্লাজার টেকনিশিয়ানরা নকল মোবাইল ফোন তৈরি করছেন চীন থেকে যন্ত্রাংশ এনে
News
অনলাইন ডেস্ক :-


চীন থেকে যন্ত্রাংশ এনে নামিদামি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল মোবাইল ফোন তৈরি করছে একটি চক্র।তারা কাভার ও লোগো বসিয়ে স্বস্তা ফোনকেও নোকিয়া,স্যামসাং ফোন বানিয়ে দিচ্ছে।দক্ষ হাতে এই নকল ফোন তৈরি করছে যে টেকনশিয়ান তার নেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাও।দেখে দেখে শিখেছে এই প্রতারণার কৌশল।এই চক্রের কাছ থেকে মোবাইল ফোন কিনে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা।এই প্রতারকচক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি)সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম শাখা।উন্নত ব্র্যান্ডের দেশীয় প্রস্তুতকারক ও পরিবেশকদের একটি মামলার তদন্ত করে গত শনিবার মোতালেব প্লাজা ও মোতালেব টাওয়ার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মশিউর রহমান,সাগর হোসেন,রহমত আলী,সুজন আলী, তরিকুল ইসলাম বাবু ও মনির হোসেন।গ্রেপ্তারকালে তাদের কাছ থেকে নোকিয়া ব্র্যান্ডের ৩১৩টি ফোন, স্যামসাংয়ের ২০৬টি নকল ফোন ও নকল মোবাইল তৈরির কাজে ব্যবহৃত একটি মেশিনসহ ফোন তৈরির বিপুল পরিমাণ যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়।সোমবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার(ডিবি)মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন,রাজধানীর হাতিরপুল এলাকার বিখ্যাত মোবাইল ফোন মার্কেট মোতালেব প্লাজার পেছনের এক বাড়িতে দীর্ঘদিন থেকে তৈরি করা হচ্ছিল নকল নোকিয়া ও স্যামসাং ব্র্যান্ডের ফিচার ফোন।ফাইভ পাস দুজন মোবাইল মেরামতকারীর নেতৃত্বে ছয়জনের একটি চক্র কয়েক বছর যাবৎ এসব মোবাইল প্রস্তুত ও বাজারজাত করে আসছিল।তিনি আরো বলেন,এসব নকল ফোন বিক্রির কারণে সরকার আট থেকে ১০কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে।নষ্ট মোবাইল মেরামত করার কথা বলে চীন থেকে যন্ত্রপাতি কিনে আনত চক্রটি।যা খালাস হতো চট্টগ্রাম বন্দরে।এই যন্ত্রপাতি এক জায়গায় করে কোনো নিয়ম না মেনে অবৈজ্ঞানিকভাবে প্রস্তুত করা হতো নোকিয়া ও স্যামসাংয়ের মতো ব্র্যান্ডের মোবাইল।এসব মোবাইল এক থেকে দুই মাসে নষ্ট হয়ে যেত।তিনি আরো বলেন,এসব মোবাইলের রেডিয়েশন তারতম্য বা নিয়ন্ত্রণ ঠিক থাকে না,তাই ব্যবহারকারীর চরম স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে।মোবাইল বিস্ফোরণের আশঙ্কাও থাকে সব থেকে বেশি।আইএমইআই নম্বর না থাকায় এসব মোবাইল ব্যবহার করে অপরাধীরা সহজেই অপরাধ করতে পারে।এতে তাদের চিহ্নিত করতে অসুবিধা হয়।চক্রটি পাঁচ-ছয় বছর ধরে এই কাজ করে আসছিল।তারা ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকার নামিদামি মার্কেটে এসব ফোন ছড়িয়ে দিত।