দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে গোপনে বাল্যবিয়ে হচ্ছে এমন খবর পেয়ে বিয়ে বাড়িতে পুলিশ নিয়ে হাজির হন ইউএনও।সেই খবর পেয়ে বাড়ির পেছনের গোপন দরজা দিয়ে পালিয়ে যায় বর-কনে।কৌশলে বর-কনেকে ধরে এনে বাল্যবিয়ের অপরাধে বর মওলাকে(১৮)তিন মাসের কারাদণ্ড ও মেয়ের অভিভাবককে ৫হাজার টাকার জরিমানা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার।ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার(৭অক্টোবর)দিবাগত রাতে বিরামপুর পৌরশহরের চকপাড়া শাহিনপুকুর এলাকায়।কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বর একই জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের মগলিশপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে।কনে(১৪)চকপাড়া শাহিনপুকুর এলাকার বাসিন্দা।বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)পরিমল কুমার সরকার বলেন,পৌরশহরের চকপাড়া শাহিনপুকুর মহল্লায় বাল্যবিয়ে হচ্ছে এমন খবর পেয়ে পুলিশসহ ঘটনাস্থলে হাজির হই।প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে বর-কনে,বরযাত্রী ও কাজীসহ অনেকে পালিয়ে যায়।পরে কনের অভিভাবকের সাথে কৌশলে কথা হলে বর-কনেসহ সকলকে সেখানে হাজির করা হয়।এসময় কনের বয়স কম হওয়াই সেখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাল্যবিয়ের অপরাধে বর মওলাকে ৩মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও মেয়েকে অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে দেয়ার প্রস্তুতির অপরাধে কনের মুচলেকাসহ অভিভাবককে ৫হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,বাল্যবিবাহ একটি সমাজিক ব্যাধি।আর এর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।তবেই সমাজের তথা দেশের উন্নয়ন সম্ভব।তারা যেন কখনো বাল্যবিবাহ দিতে না পারে।আর বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।