বগুড়ার শেরপুরে নিম্ন-আয়ের(গরীব)মানুষের জন্য ফ্যামিলি কার্ডের ভর্তুকি মূল্যের টিসিবির পণ্য বিক্রি হচ্ছে কালোবাজারে।তাই ফ্যামিলি কার্ড থাকলেও অনেকে পাননি কোনো পণ্যসামগ্রী।সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষার পর খালি হাতেই বাড়ি ফিরে গেছেন অনেকে।আবার অনেকেই পণ্য না পেয়ে ডিলারের বিক্রয় কেন্দ্রের সামনে কার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের টিসিবির ডিলার তোতা মিয়ার খন্দকারটোলা মাজারগেট ও আব্দুল আউয়ালের হামছায়াপুর কাঁঠালতলাস্থ বিক্রয় কেন্দ্রের সামনে এই বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ভুক্তভোগীরা।এদিকে ফ্যামিলি কার্ড থাকার পরও ভর্তুকি মূল্যের পণ্যসামগ্রী না পাওয়ায় সুফলভোগীদের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ একাধিক ইউপি সদস্য(মেম্বার)অভিযোগ করে বলেন,বিগত কয়েকমাস ধরেই টিসিবির পণ্য বিতরণ করা হচ্ছে।কিন্তু প্রত্যেক বরাদ্দেই ডিলার নয়-ছয় করেন।গরীব কার্ডধারীদের পণ্যসামগ্রী তাদের না দিয়ে কালোবাজারে বিক্রি করে দেন।এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।রবিবার থেকে শুরু হওয়া টিসিবির পণ্য বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন ওই দুই ডিলার।জানা যায়,নিম্ন-আয়ের পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার সুলভমূল্যে পণ্য সামগ্রী দিচ্ছে।এটি বাস্তবায়ন করছেন ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ(টিসিবি)।তাদের ডিলারদের মাধ্যমে সারাদেশেই ভর্তুকি মূল্যের পণ্যসামগ্রীগুলো বিতরণ করা হচ্ছে।এরই ধারাবাহিকতায় শেরপুর উপজেলার ১৫হাজার দরিদ্র পরিবারকে উক্ত কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে।প্রত্যেক পরিবারকে দেওয়া হয়েছে একটি করে ফ্যামিলি কার্ড।সে অনুযায়ী শাহবন্দেগী ইউনিয়নের এক হাজার ৫৬১টি পরিবার ওই ফ্যামিলি কার্ড পেয়েছেন।গতকাল রবিবার থেকে তাদের মাঝে টিসিবির পণ্য বিতরণ শুরু করা হয়েছে।এ দফায় সয়াবিন তেল,পেঁয়াজ,মসুর ডাল ও চিনি দেওয়া হচ্ছে।কিন্তু এসব পণ্য বিতরণে ডিলারদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন ডিলার আব্দুল আউয়াল ও তোতা মিয়ার পক্ষে তার ছেলে বাবু।তিনি বলেন,যথাযথ নিয়ম মেনেই টিসিবির পণ্য বিতরণ করা হয়েছে।এখানে অনিয়ম বা দুর্নীতি করা হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো:ময়নুল ইসলাম জানান,ঘটনাটি শুনেছি।ফ্যামিলি কার্ডধারীরা টিসিবির পণ্য না পাওয়ার কথা নয়।তাই বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।