★ বিপুল ইসলাম আকাশ,সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃ-
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পরিত্যক্ত চুলকে ঘিরে গড়ে উঠেছে চুল প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্র।নারীরা মাথা আঁচড়ানোর পর উঠে আসা পরিত্যক্ত চুলকে জীবিকার উৎস বানিয়েছে গ্ৰামীন নারীরা।পরিত্যক্ত চুলের কারখানাকে কেন্দ্র করে কর্মসংস্থান হয়েছে হাজারো নারী-পুরুষের।বেঁচে থাকার অবলম্বন পেয়েছেন বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারী।
কেন্দ্রতে কাজ করা নারী শ্রমিকরা জানান,গুটি কিংবা জটা থেকে চুল ছাড়ানোর দৈনিক ৭ঘণ্টা কাজ করে ২০০টাকা পেয়ে থাকেন।তারা জানান,যারা এ পেশায় কাজ করেন তারা মূলত গ্রামের দরিদ্র নারী।
যা আয় করেন তা দিয়ে সন্তানদের পড়ালেখার খরচ এবং তাদের চাহিদা মেটানো হয়। তাদের দাবি মজুরি বৃদ্ধিসহ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের পাশে যেন এগিয়ে আসেন স্থানীয় প্রতিনিধিরা।
চুল ব্যবসায়ী বিপ্লব বলেন,দুই বছর আগে দুটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে আটটি কেন্দ্র গড়ে তোলেন।বিপ্লব এবং আল-আমিন মিলে এই প্রক্রিয়াজাতকরন কারখানার নাম দেন আল আমিন হেয়ার ফ্যাশন।তাদের কারখানা থেকে প্রতি মাসে ২০০থেকে ৩০০কেজি প্রক্রিয়াজাত করা চুল বিক্রি হয়।প্রতি মাসে প্রায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা বিক্রি হয়ে থাকে।কর্মীদের বেতন, বাড়ি ভাড়া ও আনুষঙ্গিক খরচ বাদ দিয়ে মাসে তাদের ৪০ থেকে ৫০হাজার টাকা লাভ থাকে।
এ ব্যাপারে অর্থ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব অনলাইন তোকদার নিউজ পোর্টাল এর,প্রতিনিধি কে বলেন,পরিত্যক্ত চুল প্রক্রিয়াজাত করার ফলে পরিবেশের উপর প্রভাব পড়ে না, পরিবেশ দূষণ হয় না,এবং আর্থিক লাভবান সহ এলাকার বেকার তরুণ-যুবক,বিধবা,স্বামী পরিত্যক্তা নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।