থেকে আমদানিকৃত চাল দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে খালাসের ৩ দিন পর বাজারে প্রভাব পড়েছে।শুল্ক কমানোর পর থেকে ১৫শতাংশ শুল্ক দিয়ে চাল আমদানি অব্যাহত আছে। শুল্ক কমানো এবং ওএমএসের(ওপেন মার্কেট সেল) চাল দেওয়ার কারণে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের চালের বাজারে প্রকারভেদে পাইকারী ও খুচরা পর্যায়ে দাম কেজিতে ২থেকে ৪টাকা কমেছে।
গত ৩১আগস্ট দুপুরে হিলি কাস্টমসে চালের বিল অব এন্ট্রি সাবমিটের পর পরিক্ষণ শুল্কায়ন শেষে চাল খালাস কার্যক্রম শুরু হয়।
শনিবার হিলি বাজারে দেখা যায়,স্বর্ণা চাল ২টাকা কমে ৫০ টাকা,২৮জাতের চাল ২টাকা কমে ৫৬টাকা এবং মিনিকেট চাল ৪টাকা কমে ৬৬টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারে চালের ক্রেতা তাজ ইসলাম বলেন,স্বর্ণা-৫ জাতের চলের দাম আগে ছিল ৫২টাকা শনিবার তা ৪৮টাকায় কিনলাম।
বাজারের চাল বিক্রেতা বাবুল হোসেন বলেন,চাল আমদানিতে শুল্ক কম এবং ওএমএসের চাল বিক্রির ফলে হিলি বাজারে কমতে শুরু করেছে চালের দাম।প্রকারভেদে কেজিতে দুই থেকে চার টাকা কমেছে।ভারত থেকে চাল আমদানি অব্যাহত থাকলে আরো দাম কমতে পারে বলেও জানান তিনি।
হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়,গত ৩০আগস্ট থেকে শনিবার পর্যন্ত ১৩৭টি ভারতীয় ট্রাক থেকে প্রায় সাড়ে ৫হাজার মেট্রিক টন চাল ছাড়করণ করা হয়েছে।এ ছাড়াও প্রায় ১৩৯টি ট্রাকে আনুমানিক সাড়ে ৫হাজার মেট্রিক টন চাল খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান,চাল আমদানি অব্যাহত রয়েছে।পর্যাপ্ত চাল আমদানি হবে।আশা করছি,আরো দাম কমবে।
এদিকে হিলিতে চালের দাম কমলেও রাজধানীতে এর প্রভাব এখনো লক্ষ্য করা যায়নি।