★ বিপুল ইসলাম আকাশ,সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃ-
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের মধ্যে সাহাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবসে(১৫আগষ্ট)জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত না রেখেই দণ্ডের সর্বোচ্চ চূড়া পর্যন্ত উঠিয়ে উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
সোমবার(১৫আগষ্ট)দুপুরবেলা সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জাতীয় শোক দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশনা থাকলেও তা অমান্য করে জাতীয় পতাকা দণ্ডের সর্বোচ্চ চূড়া পর্যন্ত উঠিয়ে উত্তোলন করে রেখেছেন।এভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে রাখাকে জাতীয় পতাকার প্রতি চরম অবমাননা ও অসম্মান উল্লেখ করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতা ও দায়িত্বের অবহেলা উল্লেখ করে তাকেই দুষছেন স্থানীয়রা।সেই সাথে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও অন্যান্য শিক্ষকদেরও এ দায় এড়ানোর সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করছেন অনেকেই।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন,শিক্ষকরা হলো মানুষ গড়ার কারিগর।তারা সমাজের উজ্জ্বল নক্ষত্র।কিন্তু প্রধান শিক্ষক এতবড় ভুল করেন কিভাবে ও দায়িত্বের অবহেলা কিভাবে করতে পারেন এমন প্রশ্নের উত্তর জানা আছে কি তার।
মধ্যে সাহাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো:মাহবুবুর রহমান বাদশার সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম হারুন-উর-রশিদ বলেন,এটা মোটেও কাম্য নয়, এরকম হয়ে থাকলে সেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।১৫আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে কি কি করতে হবে ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত কিভাবে করতে হবে সেসব তাদের জানানো হয়েছে।তারপরেও কেউ ভুল করলে বিষয়টি তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-আল-মারুফ বলেন, এটা অবশ্যই জাতীয় পতাকার প্রতি অবমাননা ও বিধি লঙ্ঘনও।আমি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্তপূর্বক অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে বলব।
উল্লেখ্য,সরকারি এক তথ্যবিবরণীতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম জানানো হয়।এসময় বলা হয়,সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনকালে পতাকাটি প্রথমে সোজাভাবে দণ্ডায়মান পতাকা দণ্ডে রশির সাহায্যে পতাকা দণ্ডের মাথা পর্যন্ত উত্তোলন করতে হবে।এরপর দণ্ডের মাথা থেকে পতাকার প্রস্থের সমান নিচে নামিয়ে পতাকাটি বাঁধতে হবে।দিন শেষে পতাকাটি নামানোর সময় আবার দণ্ডের মাথা পর্যন্ত উত্তোলন করতে হবে।তারপর ধীরে ধীরে নামাতে হবে।কোনোভাবেই ছেঁড়া বা বিবর্ণ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে না।মানসম্মত কাপড়ে যথা নিয়মে তৈরি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে।