★ বিপুল ইসলাম আকাশ,সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃ-
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে ১০টাকা কেজি চালের কার্ড নবায়ন করার জন্য কার্ড প্রতি ২০থেকে ৫০টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার(১৪আগষ্ট)দুপুরবেলা সরেজমিনে গেলে বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে অর্ধশতাধিক কার্ডধারী ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন,সরকার হামাক ১০টাকা কেজির চাউল দেয় সেই কার্ড নবায়নের জন্য গেলে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বারের কম্পিউটার অপারেটর জন প্রতি ২০থেকে ৫০টাকা দাবি করেন।এতে অনেক ভুক্তভোগীরা টাকা দিতে রাজি না হলে তাদের কার্ড বাতিল করার কথাও বলেন।সাতগিরি এলাকার ভুক্তভোগী আঃ ছাত্তার বলেন,আগের চেয়ারম্যান হামার ফ্রি কার্ড করি দিছে।সেটাই হামরা এতবছর ধরি খাইনো।এখন নয়া চেয়ারম্যান আসি নবায়ন করা নাগবে জন্য কারো কাছে ২০টাকা কারো কাছে ৫০টাকা করি চায়।হামরা গরীব মানুষ সরকার হামাক ১০টাকা কেজির চাল দিছে সেটা নবায়ন করবার আসিয়া একদিনের কামলা(দিনমজুর)কামাই করনো।বাড়ি থাকিয়া হাটি(হেটে)আসনো এটে আসি শুনি এমাক (এদের)২০টেকা(টাকা)দেওয়া নাগে(লাগে)।এই ২০টেকা (টাকা)কোটে পাই টেকা(টাকা)থাকলে তো ভ্যানত আসলাম হয়।
এছাড়াও কার্ড নবায়ন করতে আসা শাহজাহান বলেন, চাউলের কার্ড নবায়নের জন্য তিনদিন পরিষদে আসলাম।একটা কার্ড নবায়নে এত ঘোরাঘুরি কেন আজকে আবার কম্পিউটার অপারেটর বলতেছে ডিলারের সাথে যোগাযোগ করতে।দিনমজুরি কাজ বাদ দিয়া কার্ড নবায়ন করার জন্য তিনদিন হলো পরিষদে আসি।এমন জনহয়রানির অভিযোগ নবায়ন করতে আসা প্রায় প্রতিটি লোকের।
ষাটোর্ধ মর্জিনা বেগম বলেন,জনাব নজমুল চেয়ারম্যান চাউলের কার্ড আগোত হামাক ফ্রি করি দিছিলো। জব্বার চেয়ারম্যান আসি ২০টাকা করি চায়।কিসের অনলাইন করা লাগে আবার তার জন্য টাকা দেওয়া লাগে।নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন,১০টাকা কেজির চালের কার্ড নবায়ন করার জন্য কম্পিউটার অপারেটর কাছে গেলে টাকা ছাড়া কোন কাজ করেনা টাকা দিলে কাজ করে দেয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার মিয়ার সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন,কার্ডগুলো ডিজিটাল করা হচ্ছে।আর এ কাজে কোনো টাকা পয়সা লাগবে না বিষয়টি বলা আছে আমাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে।এরপরও কেউ টাকা নিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি প্রকল্পের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-মারুফ বলেন,কার্ড নবায়নে কোনো টাকা আদায় করা যাবে না। বিষয়টি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা কে খতিয়ে দেখার জন্য বলেছি।ঘটনার সত্যতা পেলে তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য,২০১৬ সালে হতদরিদ্র মানুষের খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর (ফেয়ারপ্রাইজ)আওতায় আনার জন্য ১০টাকা কেজি দরে পরিবার প্রতি ৩০কেজি চাল বিক্রি শুরু করেন সরকার।ওই কর্মসুচীর আওতায় উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে ২হাজার ১শত ১৬জন উপকার ভোগী চিহিৃত করা হয়।