সখের বশে মানুষ মহাকাশে,বিমানে বা ব্যতিক্রমী স্থানে বিয়ে ও বাসর করে থাকে।এবার বিয়ে করে পুকুরে বাসর ঘর বানিয়ে আলোচনায় শেরপুরের এক দম্পতি।
খরচ ও আয়োজন কম হলেও বিষয়টি মানুষের মধ্যে বেশ কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।অসংখ্য মানুষ এই আয়োজন দেখেতে ভিড় করছেন।অভিনব এই বাসর ঘর নিজে বানিয়েছেন হালিম মিয়া(২৫)নামে ওই বর।
হালিমের বাড়ি সদর উপজেলার চর শেরপুর ইউনিয়নের সাতানি পাড়া এলাকায়।অভিনব এই বাসর ঘর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি ভাইরাল হয়ে পড়ে।
আজ শনিবার হালিমের বাড়িতে বৌভাতের আয়োজন করা হয়।শুক্রবার রাতে পুকুরের উপর বাসর করা নতুন ওই দম্পতিকে দেখতে বৌভাতে হাজির হয়েছেন অসংখ্য মানুষ।
জানা যায়,হালিম একটি ওয়ার্কশপের ঝালাই শ্রমিক।গত সপ্তাহে হালিমের সাথে বিয়ে নির্ধারণ হয় মোর্শেদা আক্তার মায়া নামে এক তরুণীর।বিয়ের পর থেকেই শুরু করা হয় ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজন।পুকুরের মাঝখানে বাঁশ পুঁতে তৈরি করা হয় ঘর।ঘরটি রঙিন কাপড়ে বেড়া দিয়ে লাইটিং করা হয়।ওই ঘরের ভিতরে খাট ফেলে ফুল সজ্জায় সাজানো হয় বাসর ঘর।ঘরটি করতে প্রায় ১৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।আর স্থানীয় বন্ধু বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনরা স্বেচ্ছা শ্রমে ঘরটি নির্মাণ করে দিয়েছেন।রাত দেড়টার দিকে ওই দম্পতি বাসর ঘরে প্রবেশ করে।
হালিম জানিয়েছেন,স্মরণীয় এই বাসর ঘরের কথা সারা জীবন স্ত্রী মনে রাখবে বলে স্বামীকে জানিয়েছেন।ওই বাসর ঘরটিতে আরও কয়েকদিন স্ত্রীকে নিয়ে অবস্থান করবেন বলে জানান হালিম।
হালিমের ইচ্ছে ছিল নিজের বিয়ের বাসর করবেন ব্যতিক্রম আয়োজনে।সেই ইচ্ছা থেকেই এমন আয়োজন।এই বাসর ঘর তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন বরের নানা কেফায়েত উল্লাহ ও স্বজন রুপন ফারাজি,সুহেল সরকার ও ৬জন ভাতিজাসহ কয়েকজন বন্ধু।
স্বেচ্ছা শ্রম দিয়ে যারা এই ঘর বানিয়েছেন তারা জানান, আয়োজনে টাকা ও সময় কম ব্যয় হলেও ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজনের সাক্ষী হয়ে থাকলেন তারা।
চেয়ারম্যান মো:সেলিম মিয়া জানান,এমন আয়োজনে এলাকার মানুষ আনন্দ পেয়েছে।ছোট এই বিষয়টি ইতিহাস না হলেও এমন মজার বাসর ঘর অনেক দিন মানুষকে আনন্দ দিবে।এই ঘর নিয়ে দু’দিন যাবৎ আমার ইউনিয়নে আগন্তকদের আনাগোনায় এলাকা মুখরিত।