প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ৩:১৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ৫, ২০২২, ২:২৭ এ.এম
সাকিব টার্গেটে ছিলেন : রোভমানের
অনলাইন ডেস্কঃ–
টি-২০ ক্রিকেটে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য এক ওভারই যথেষ্ট!সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এই ক্রিকেটে বড় দলগুলো এই সুযোগটাই নেয়।ম্যাচে তারা নির্দিষ্ট কোনো বোলারকে টার্গেট করেন তার কোনো এক ওভারেই পাল্টে ফেলেন ম্যাচের গতি।ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারকুটে ব্যাটসম্যান রোভমান পাওয়েল শেষ ম্যাচে টার্গেট করেছিলেন সাকিব আল হাসানকে।তার এক ওভার থেকে নিয়েছেন ২৩ রান।সাকিবের করা ১৬তম ওভারে প্রথম চার বলে তিন ছক্কা ও একটি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি।ম্যাচ শেষে ক্যারিবীয় বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান রোভমান পাওয়েল বলেন আমরা সবাই ব্যাটিং পরিকল্পনায় ম্যাচের মোমেন্টাম বদলানো ব্যাটিংয়ে গতি বাড়ানো নিয়ে কথা বলি।
আজ সাকিবের ওই ওভারটা আমাদের হয়ে সে কাজটা করে দিয়েছে।তবে সাকিবকে টার্গেট করলেও সবচেয়ে বেশি ঝড় গেছে ইনজুরি থেকে ফেরা পেসার তাসকিন আহমেদের ওপর দিয়ে।গতি তারকা মাত্র ৩ ওভারেই দিয়েছেন ৪৬ রান।সাকিব তার চার ওভারের কোটায় দিয়েছেন ৩৮ রান।এর মধ্যে এক ওভারেই ২৩।পেসার শরিফুল তার চার ওভারের কোটায় দিয়েছেন ৪০ রান।এমনকি কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানও পড়েছিলেন ঝড়ের কবলে।তার চার ওভার থেকে উইন্ডিজ বোলাররা নিয়েছেন ৩৭ রান।উইন্ডিজ তারকা রোভমান পাওয়েল তান্ডব চালিয়ে ২৮ বলে খেলেছেন ৬১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস।২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ক্যারিবীয়রা করেছে ১৯৩ রান।লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৫৮ রানের বেশি করতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।সর্বোচ্চ ৬৮ রান এসেছে সাকিবের ব্যাট থেকে।বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ৫২ বল খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন।তবে এই হারের ব্যবচ্ছেদ করলে বোলারদের চেয়ে ব্যাটসম্যানরাই বেশি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।কারণ টি-২০তে এখন ২০০ কিংবা তার কাছাকাছি স্কোর খুবই স্বাভাবিক হয়ে গেছে।তা ছাড়া ১৯৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে যেভাবে শুরু করা সেভাবে শুরুটা হয়নি বাংলাদেশের।মাত্র ২৩ রানেই তিন উইকেট পড়ে যাওয়ায় ব্যাকফুটে চলে যান টাইগাররা।ওয়ানডাউনে নেমে সাকিব যখন একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন আরেক প্রান্তে একের পর এক উইকেট পড়েছে।প্রশ্ন উঠেছে সাকিবের অ্যাপ্রোচ নিয়েও।তিনি পুরো সময় উইকেটে থাকার পরও কেন রানের গতি বাড়াতে পারলেন না?অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদে অবশ্য সাকিবের প্রশংসাই করেছেন।তবে এমন ছন্নছাড়া ব্যাটিং নিয়ে তার ক্ষোভ জানাতেও ভুলেননি।তিনি বলেন ব্যাটিংয়েও আমরা যথেষ্ট ভালো ছিলাম না।সাকিব ভালো ব্যাট করেছে তবে অন্য প্রান্তে আর কারও অবদান রাখা জরুরি ছিল।পাওয়ার প্লের সুবিধা নিতে হতো।এরপর সেই মোমেন্টাম বয়ে নিয়ে যেতে হতো।কিন্তু সাকিব ছাড়া আফিফ ভালো খেলেছে আর কোনো ব্যাটার কিছু করতে পারেনি।টি-২০তে পাওয়ার প্লে সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ।কিন্তু সেখানেই এলোমেলো হয়ে যায় বাংলাদেশ।মাহমুদুল্লাহ বলেন ১৯০ (১৯৪) তাড়া করতে হলে ভালো একটা শুরু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাওয়ার প্লেতে ৫৫-৬০ রান লাগবে তাহলে হয়তো ম্যাচে থাকা যায়। আমরা প্রথম ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেললাম,রান করেছি সম্ভবত ৪৪।ওখানে আমরা কিছুটা পিছিয়ে পড়েছি।বাংলাদেশের বড় সমস্যা হচ্ছে পিঞ্চহিটার নেই।শেষ দিকে বাইশগজে ঝড় তুলে যে দ্রুত রানের গতি বাড়াবেন এমন ক্রিকেটার নেই।একদিন আগেই বিগহিটারের জন্য আক্ষেপ করেছিলেন ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স।তিনি বলেছিলেন টি-২০তে বিগহিটার ছাড়া বড় স্কোর করা কঠিন।এই ম্যাচে তা যেন হাড়ে হাড়েই টের পেলেন টাইগাররা।অন্যদিকে উইন্ডিজ দলে প্রত্যেক ব্যাটসম্যানই যেন এক একজন পাওয়ার হিটার।পাওয়ার হিটার হওয়ার পরও তারা টি-২০তে দারুণ ধারাবাহিক।রহস্য কী? রোভমান পাওয়েল বলেন সত্যি বলতে আমি নিজেকে বিগহিটার হিসেবে আর দেখি না নিজেকে এখন দেখি এমন একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে যার হাতে জোর আছে।এই ভাবনার সূত্র ধরেই নিয়ন্ত্রণ চলে আসে কখন সিঙ্গেল নিতে হবে কখন আক্রমণ করতে হবে।আমার মনে হয় এই ভাবনাটা আমার কাজে দিয়েছে।