এর মধ্যে চলতি মৌসুমে বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত বৃষ্টি এবং রোদ না থাকার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কৃষকদের।জমি থেকে বাদাম তুলে আবার নতুন করে পানিতে ধুয়ে রোদে শুকাতে হচ্ছে, সেই সাথে খরচ ও হচ্ছে দ্বিগুণ।উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত রাক্ষুসি তিস্তা নদী এখন আবাদি জমিতে পরিণত হয়েছে। চরাঞ্চলের হাজারও একর জমিতে এখন চাষাবাদ করা হচ্ছে নানাবিধ প্রজাতির ফসল।তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাদাম। বাদাম কৃষকের লাভজনক ফসল। কারণ যে জমিতে কোন ফসল হয় না সেই বালু জমিতেই বাদামের চাষ হয়। বাদামের বীজ লাগানোর পর তেমন একটা পরিচর্যা ও কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। দেখা যায় বাদাম চাষে অন্যান্য ফসলের চেয়ে উৎপাদন খরচ কম। কিন্তু অধিক পরিমাণে বৃষ্টি হওয়ার ফলে হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।কথা হয় তারাপুর ইউনিয়নের কিছু কৃষকের সাথে,তারা বলেন, স্বল্প খরচে অধিক লাভ থাকায় চরের কৃষকরা এখন বাদাম চাষে ঝুঁকেছে, চরাঞ্চলের জমিতে এখন ভাল ফলন হয়। বাদামের ফলনও ভালো হয়েছে, ভালো দামও রয়েছে বাজারে। কিন্তু বৃষ্টি হওয়ার কারনে বাদাম তুলতে এবং বিক্রি করার উপযোগী করতে গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ খরচ।সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির বলেন, চলতি মৌসুমে ২০৫ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। তার মধ্যে তারাপুর ইউনিয়নে প্রায় ১০০ হেক্টর।যা গত বছরের তুলনায় বেশি। পলি জমে থাকার কারণে চরের জমি অনেক উর্বর। যার কারণে যে কোন ফসলের ফলন ভাল হয়। চরের জমি বাদাম চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় ভাল ফলনে তারা লাভবান হচ্ছেন।তবে এবার বৃষ্টি হওয়ার কারনে কৃষকদের খরচ একটু বেশি হচ্ছে।