আইলারে নয়া দামান আসমানেরি তেরা, বিছানা বিছাইয়া দিলাম শাইল ধানের নেড়া, দামান বও দামান বও’ আলোচিত সিলেটের এই আঞ্চলিক গানটি যেমন জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল ঠিক তেমনি জনপ্রিয় এই গানের সাথে মিল রেখেই গরুর নাম রাখা হয়েছিল ‘নয়া দামান’।
প্রায় ৩০ মণ ওজনের ফ্রিজিয়ান জাতের কালো রংয়ের গরুটি গতবছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হলেও করোনার কারণে গতবছর লকডাউন ও কঠোর বিধিনিষেধের কারণে নয়া দামান কে দেশের বড় কোন হাটে তোলার সুযোগ পায়নি এমনকি অনলাইন পশুর হাটেও বিক্রি না হওয়ায় অবিক্রীতই থেকে যায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নয়া দামান।অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষক আলহাজ্ব মোঃ আবুল কাশেম মাস্টার জানান, প্রায় দেড় লাখ টাকায় দুই বছর আগে স্থানীয় এক স্কুল শিক্ষকের কাছ থেকে গরুটি কিনেছেন।এরপর থেকে তিনি নিজ খামারে গরুটি লালন-পালন করেন।গরুটির খাবারের তালিকায় প্রতিদিন থাকছে, চাল, ডাল, ভুসি,আলু, কাচাঘাস ও কলাসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার।নয়া দামান গরুটির প্রতিদিন খাবার বাবদ প্রায় ৪৫০-৫০০ টাকা খরচ হয়।
গরুটি গাইবান্ধা জেলা তথা উত্তরাঞ্চলের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় বলে দাবি করেন আবুল কাশেম মাস্টার।আলহাজ্ব আবুল কাশেম মাস্টার প্রায় ২বছর ধরে গরুটি লালন-পালন করছেন নিজ বাড়ির খামারে।অনেক আদরে ও যত্নসহকারে বড় হওয়া ‘নয়া দামান’ নামের গরুটি উত্তরাঞ্চলের সেরা বলে দাবি খামার মালিকের।এটির দাম চাওয়া হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা।এরইমধ্যে গত পনের দিন আগে চট্টগ্রামের এক গরু ব্যবসায়ী নয়া দামান কে কিনতে ১২লাখ টাকা দাম বললেও তবে খামার মালিক আলহাজ্ব আবুল কাশেম মাস্টার এ দামে নয়া দামান কে ছাড়েননি।তবে বাজারে সঠিক মূল্য পেলে অনেক আদরের নয়া দামান কে বিক্রি করে দিবেন।এমন বিশাল আকারের গরুটি দেখতে প্রতিদিন আবুল কাশেমের বাড়িতে ভিড় করছেন ক্রেতাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ।সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের কিশামত সর্বানন্দ গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষক আলহাজ্ব আবুল কাশেম মাস্টার প্রায় ৩০ বছর ধরে বাড়িতে বিভিন্ন জাতের গবাদি পশু লালন-পালন করছেন।এবার কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য তিনি খামারে প্রস্তুত করেছেন ফ্রিজিয়ান জাতের এই নয়া দামান গরুটি।প্রায় চার বছর বয়সী গরুটির উচ্চতা ৫ ফুট ৮ইঞ্চি ও লম্বা প্রায় ৯ফুট।ওজন প্রায় ৩০ মণ।এদিকে ‘নয়া দামান’ গরুটি দেখতে প্রতিদিন আবুল কাশেমের বাড়িতে ভিড় করছেন আশেপাশে এলাকা ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে আসা নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবদুল ওয়াহাব জানান, মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়া ছাড়াই গরুটি প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠেছে।প্রথম থেকেই তিনি গরুটির চিকিৎসা করে আসছেন।