খুলনায় স্কুলছাত্র ফাহমিদ তানভীর রাজিন হত্যা মামলায় ১৭আসামির প্রত্যেককে সাত বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।সোমবার দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক আব্দুস সালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন।রায় ঘোষণার সময় ১৭আসামির সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের শিশু সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মঞ্জুরুল ইসলাম ওরফে সাব্বির হাওলাদার (১৬),বিএম মাজিব হাসান রয়েল(১২),শাহারিয়ার জামান তুর্য্য(১৭),রিয়ান শেখ ওরফে রেফাত(১২),ফাহিম ইসলাম মনি(১৪),সানি ইসলাম ওরফে আপন(১৩),জিসান খান(১৫),তারিন হাসান ওরফে রিজভী(১৩),শাকিব খান শিমুল(১৭),অন্তর কুসার দাস(১৫),মোঃ হাকিম(১৭),সৈকত(১৬),শেখ সাকিব(১৭),আসিফ প্রান্ত আলিফ(১৫),শেখ তামিম(১৬),সাকরান সালেহ ওরফে মিতুল(১২)এবং মোস্তফিজুর রহমান নাঈম(১৪)।আদালত সূত্র জানায়,২০১৮সালের ২০জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে কনসার্ট দেখার জন্য খুলনা পাবলিক কলেজের উদ্দেশে রওনা হয় রাজিন।
রাতে অনুষ্ঠানস্থলে বসাকে কেন্দ্র করে আসামি তামিমের সাথে রাজিনের হাতাহাতি হয়।রাত ৯টার দিকে তারা রাজিনকে অনুষ্ঠানের মঞ্চের পেছনে নিয়ে চড় থাপ্পড় মারতে থাকে।একপর্যায়ে সাব্বির বলে,আমার কাছে চাকু আছে।অনেকদিন চাকুটি রক্ত খায় না।মামলার অন্য আসামিরা রাজিনের হাত চেপে ধরে।আর সাব্বির চাকুটি রাজিনের পেটে ঢুকিয়ে দিলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।এরপর আসামিরা পালিয়ে যায়।আহত অবস্থায় রাজিনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।এরপর নিহতের পিতা শেখ জাহাঙ্গীর আলম ৬জন আসামির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০জনের বিরুদ্ধে নগরীর খালিশপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।একই বছরের ১৬ফেব্রুয়ারি খালিশপুর থানার এসআই মোঃমিজানুর রহমান ১৭জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।রায় ঘোষণার পর নিহত রাজিনের মা খুলনা পুলিশ লাইন স্কুলের শিক্ষিকা রেহানা খাতুন অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, শিশু আইনে সর্বোচ্চ ১০বছরের সাজার কথা বলা হলেও আদালত সেটা না করে আসামিদের ৭বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।এ ছাড়া আসামিরা রায় ঘোষণার পর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সাজা শেষে কারাগার থেকে বেরিয়ে তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।