লিখিত পরীক্ষায় বিশদভাবে নিবন্ধ লিখতে হয়‘ফোকাস রাইটিং’অংশে।বাংলা ও ইংরেজিতে দুটি নির্ধারিত বিষয়ের ওপর নিবন্ধ লিখতে হয়।এ অংশে সাধারণত দুটি মিলিয়ে ৬০নম্বর বরাদ্দ থাকে।অনেক সময় কিছু শর্ট নোটও লিখতে হতেপারে।৩-৪পৃষ্ঠার মধ্যে গড়পড়তা লিখে মোটামুটি নম্বর পাওয়া যায়।তবে ভালো নম্বর পেতে বিষয়ভিত্তিক বিশ্লেষণসহ তুলনামূলক তথ্যগুলো টেবিল,ছক বা গ্রাফ আকারে উপস্থাপন করতে হবে।এ জন্য সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সহ আর্থিক খাতের বেসিক সূচক,উন্নয়নের চালচিত্র জেনে যেতে হবে।
বিশেষ করে কোভিড-১৯পরিস্থিতিতে বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণাসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা উদ্যোগ-নীতি;ই-কমার্সের উত্থান,সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ;স্বাধীনতার ৫০বছরে দেশের ব্যাংকিং খাতের বিকাশ,অর্জন ও উন্নয়ন:উন্নত রাষ্ট্রের রূপরেখা-ভিশন২০৪১,পদ্মা সেতু,মেট্রোরেল,পায়রা বন্দর,পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ মেগা প্রকল্পগুলো,টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি,রোহিঙ্গা সংকট ও কূটনৈতিক তৎপরতা,রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের অর্থনৈতিক প্রভাব-বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটসহ সাম্প্রতিক বিষয়গুলো বিশদভাবে পড়ে নিতে পারেন।
প্রয়োজনে টপিক ধরে গুগলে সার্চ দিয়ে সংশ্লিষ্ট কলাম,নিবন্ধ বা গবেষণাপত্র একসঙ্গে আলাদা একটা ফোল্ডারে জমা করে রাখুন।প্রতিদিন সময় করে নিয়মিত চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন।আলাদা একটা পৃষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন রেমিট্যান্স,রপ্তানি আয়,বৈদেশিক রিজার্ভ,তুলনামূলক দারিদ্র্য হ্রাস,বার্ষিক প্রবৃদ্ধি(জিডিপি)ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি ছক আকারে টুকে রাখতে পারেন।টপিক ধরে এভাবে কিছুদিন অনুশীলন করলে ফোকাস রাইটিংয়ে যেকোনো বিষয়ে বাংলা বা ইংরেজিতে সহজেই লিখে আসতে পারবেন।
ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় গণিত একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।এখানে সাধারণত ৫০-৭০নম্বর বরাদ্দ থাকে।অঙ্কে ৫০নম্বরের প্রশ্ন করা হয়।সাধারণত পাঁচটা,অনেক সময় সংক্ষিপ্ত সাতটা অঙ্কও দেওয়া হয়।সাত–পাঁচ যা-ই হোক,মাথা ঠান্ডা রেখে সময়ের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করতে না পারলে জানা বিষয়েও গুবলেট পাকিয়ে যেতে পারে।এ জন্য সর্বোচ্চ৪০-৪৫মিনিট বরাদ্দ রাখুন গণিতে।যাঁদের গণিতে পারদর্শী,তাঁরা কিছুটা বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন।বিভিন্ন বই থেকে আগের বছরের প্রশ্ন ধরে এ কটি দিন আরেকবার অনুশীলন করতে পারলে ভালো।বিশেষ করে যেসব অধ্যায় থেকে নিয়মিত অংশ আসে,সেগুলোতে বাড়তি সময় দিন।তবে পরীক্ষার আগের মুহূর্তে কোনোভাবেই বাড়তি চাপ নেওয়া যাবে না।এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।প্যাসেজ থেকে উত্তর করার জন্য এখন আর আলাদা করে সময় না দিলেও চলবে।লিখিত পরীক্ষার অন্যান্য বিষয় নিয়ে যাঁরা দীর্ঘদিন ঘাঁটাঘাঁটি করছেন,এমনিতেই প্যাসেজে ভালো করবেন। শুধু সময়টার দিকে খেয়াল রাখবেন।অনেকে এ অংশ শেষের দিকে উত্তর দেওয়া শুরু করেন।এতে অনেক সময় পুরো প্যাসেজ ঠিকমতো পড়া হয়ে ওঠে না।উত্তর খুঁজে পেতে সমস্যা হয়।এ জন্য আগে প্রশ্নগুলো দেখে নিতে পারেন।এতে প্যাসেজ পড়ে উত্তর খুঁজে পাওয়া সহজ।প্রশ্নের সূত্র ধরে হুবহু উত্তর না পেলেও ছেড়ে আসবেন না।তবে প্যাসেজে দেওয়া কোনো শব্দ হুবহু না তুলে দিয়ে প্রতিশব্দ ব্যবহারের চেষ্টা করবেন। গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।কিছু নম্বর তো যোগ হবে।এ অংশে সাধারণত পাঁচটি প্রশ্নের জন্য ২০নম্বর বরাদ্দ থাকে।