জাতীয় সংসদের স্পিকার ড:শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন,বঙ্গবন্ধু সারাজীবন শোষিত-নিপীড়িত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করেছেন।তিনি অন্যায়ের সাথে কখনো আপষ করেন নি।১৯২০সালে টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেয়া খোকা আমাদের উপহার দিয়ে গেছেন স্বাধীনতা।তিনি বলেন,ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।৭মার্চের দর্শন ও জাতির পিতার আদর্শ সকলকে অনুসরণ করতে হবে।২০২০ও২০২১জাতীয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়,কেননা ২০২০জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও ২০২১আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।
রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত মুজিববর্ষ আন্ত:কলেজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ এবং ‘৭ই মার্চ ১৯৭১:একটি ভাষণে একটি জাতিরাষ্ট্রের সৃষ্টি শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পীকার আজ এসব কথা বলেন।এসময় তিনি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
স্পিকার বলেন,ভাষার উপর আঘাত বাঙালি মেনে নিতে পারেনি।কারণ,ভাষার উপর আঘাত মানে অস্তিত্বের উপর আঘাত।১৯৭০এর নির্বাচনে জয়ী হবার পরেও,পাকিস্তান সরকার অন্যায়ভাবে আমাদের ক্ষমতায় যেতে দেয়নি।পরবর্তীতে,বঙ্গবন্ধুর ডাকে উদ্বুদ্ধ হয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা।কোন ধরণের শোষণ-বঞ্চনা ও দারিদ্র্য যেন না থাকে,তাই ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন।তাঁর সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে চলেছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বে আজ উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন,শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ মানসিক ও শারীরিক বিকাশে শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা,ক্রীড়া,সংস্কৃতি চর্চার উন্মুক্ত সুযোগ জরুরি।এক্ষেত্রে,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত মুজিববর্ষ আন্ত:কলেজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করবে।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের বৃহত্তম উচ্চিশিক্ষার প্রতিষ্ঠান যাতে উচ্চশিক্ষাক্ষেত্রে ৭০ভাগ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে।সারা বিশ্বে তারা মেধা ছড়িয়ে দেবার মাধ্যমে দেশের সম্মান বৃদ্ধি করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডমোঃ মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড:হারুন অর রশিদ ও স্বাগত বক্তা হিসাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড:নিজামউদ্দিন আহমেদ বক্তব্য রাখেন।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
★প্রকাশক:- মোঃ মোশারফ হোসেন তোকদার।
★ব্যবস্থাপনা পরিচালক:- মোঃ এম,খোরশেদ আলম,সভাপতি প্রেসক্লাব পীরগাছা,রংপুর বিভাগ।
© All rights Reserved © 2020 গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত এই ওয়েবসাইটি Tokdernews.com বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পোর্টাল।