প্রশাসন সূত্রে জানা যায়,গোবিন্দগঞ্জে ২০১৬-১৭অর্থবছরে ২ হাজার ২৫৩টি ধর্মীয় সভায় খাবারের জন্য ৫হাজার ৮২৩মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।ওই চালের দাম ২২কোটি ৩লাখ ২১ হাজার ৫৯০টাকা।জাল কাগজপত্র তৈরি করে চাল আত্মসাতের সত্যতা পাওয়ায় গত বছরের ২৬আগস্ট দুদকের রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হোসাইন শরীফ বাদী হয়ে তাঁর কার্যালয়ে মামলা করেন।মামলায় গোবিন্দগঞ্জের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ(পিআইও)১৯জনকে আসামি করা হয়।ওই মামলার আসামি সেকেন্দার আলী।
এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন,মামলার ১৯আসামির মধ্যে গোবিন্দগঞ্জের পিআইও বাদে ১৮আসামি গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে গাইবান্ধার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আসামিদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।এ হিসাবে গত বছরের ২২ নভেম্বর জামিনের মেয়াদ শেষ হলেও তাঁরা আজ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করেননি।এখন দুদক বা পুলিশ আদালতের পরোয়ানা ব্যতীত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারে। কিন্তু তাঁরা কেউ এখনো গ্রেপ্তার হননি।সেই আসামিকেই শপথ পড়ান জেলা প্রশাসক।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মামলার বিষয়ে আদালত থেকে তাঁরা কোনো নির্দেশনা পাননি। নির্বাচনের পর গেজেট হওয়ায় তাঁকে শপথ পড়ানো হয়েছে।
এ বিষয়ে শিবপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়।তিনি ফোন ধরেননি।তবে তাঁর এক সমর্থক বলেন,এখনো আদালতে তাঁর অপরাধ প্রমাণিত হয়নি।তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছেন।
গত ২৬ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত গোবিন্দগঞ্জের ১৬টি ইউনিয়নের নির্বাচনে মামলার ১৪আসামি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে ১০জন পরাজিত হলেও ৪জন বিজয়ী হন।