বার্তাসম্পাদক:মোঃরফিকুলইসলামলাভলু।
প্রকাশিত সময় :-মঙ্গলবার, ২৩নভেম্বর,২০২১
নির্বাচন করতে গিয়ে দলীয় কোনো কর্মী মারা গেলে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের বাসাইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. সাইফুল ইসলাম। তার এ ঘোষণা নিয়ে অনেক বিতর্ক তৈরি হয়। তবে বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই আসন্ন চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে বাসাইল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন এই প্রার্থী।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করেন। এর মধ্যে বাসাইলের সাইফুল ইসলামসহ মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান ও লৌহজংয়ে ২৩ ইউনিয়নে মনোনীত প্রার্থীদের নামও রয়েছে।
বাসাইল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। আমার কর্মকাণ্ড দল মূল্যায়ন করেছে বলে মনোনয়ন দিয়েছে। আমি শান্তিপ্রিয় মানুষ, কোনো মারামারি, সহিংসতা চাই না। কর্মী মারা গেলে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা আমি বলেছিলাম। কারণ, ১৯৮৬ সালে নির্বাচনে বাসাইলের একটি কেন্দ্রে তিনজন লোককে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছিল। ওই লোকগো কেউ পাশে দাঁড়ায় নাই। আমি ওই কথাটারে একটা উদাহরণ হিসেবে জনগণরে বলছি, আপনারা নির্বাচন আইলে ভয় পাইয়েন না।
এর আগে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলামের একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এক উঠান বৈঠকে দেওয়া ওই বক্তব্যে তাকে বলতে শোনা যায়, এই নির্বাচন পারপাসে একটা লোক মারা যাইতে পারে। আমার কর্মী যারা তাদের একটা লিস্ট আছে। এই কর্মীদের ভিতরে যদি কেউ মারা যান আমার নির্বাচন করতে গিয়ে, তাহলে আমার পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা তার পরিবারকে দেওয়া হবে। আর যদি খুনাখুনি বাইড়াবাইড়ি করে হাসপাতালে ভর্তি থাকেন তাহলে আমি তার সম্পূর্ণ খরচ বহন করবো। এমনকি তার সংসারের খরচও আমি চালাবো। আমি মাইট্টা ঢোরা সাপ। চুপ করে শুয়ে থাকি, আর যখন কামড় মারি তখন মাংসসহ ছিঁড়ে ফেলি।
বিজ্ঞাপন
আগামী ২৩ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান ও লৌহজং উপজেলায় ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।