রংপুরের পীরগাছায় নিজ ঘর থেকে রাবেয়া বেগম(৬৫)নামে বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধারের ৩৭ দিনের মাথায় হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পীরগাছা থানা পুলিশ।তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৪ জনকে গত রোববার রাতে গ্রেফতার করা হয়।এদের মধ্যে দুজন হত্যার কথা স্বীকার করে সোমবার বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।চুরি করতে দেখে ফেলায় বৃদ্ধাকে হত্যা করা হয় বলে জানান ঘাতকরা।গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আজিজুল ইসলাম।তিনি জানান,গ্রেফতাকৃতরা সবাই নিহত বৃদ্ধার প্রতিবেশি।
তারা হলেন,উপজেলার অনন্দনগর ইউনিয়নের মুন্সি পাড়া গ্রামে রমজান আলীর ছেলে রুবেল মিয়া(২০)আশাদুল হকের ছেলে দুলাল মিয়া(১৯)মীর মাজেদুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান রাঙ্গা( ২৮)ও জুলহাস মিয়ার ছেলে শিমুল শেখ(২৫)।
রোববার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পীরগাছা থানা পুলিশ।
রংপুর আমলি আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে রুবেল মিয়া ও দুলাল মিয়া বলেন,তারা ঘটনার দিন রাতে বৃদ্ধা রাবেয়া বেগমের বাড়িতে চুরি করতে যান।
এসময় ঘরে প্রবেশ করে চুরির করার এক পর্যায়ে বৃদ্ধা রাবেয়া তাদেরকে দেখে ফেলেন।পরে বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার ভয়ে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর মরদেহ বিছানা পেতে কাথা মুড়ি দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
এরপর থেকে তারা বিভিন্ন ছদ্মবেশ পালিয়ে ছিলেন।
পরে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আজিজুল ইসলাম বলেন,দীর্ঘ ৩৭ দিন বিভিন্ন ভাবে তদন্ত করে অবশেষে হত্যার রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হয় পীরগাছা থানা পুলিশ।
এঘটনায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।তাদের মধ্যে রুবেল মিয়া ও দুলাল মিয়া আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
উল্লেখ্য,গত ১৪ আগস্ট বিকালে উপজেলার অন্নদানগর ইউনিয়নের রাধাকৃষ্ণ ইটভাটা সংলগ্ন গ্রাম থেকে মৃত রহিম উদ্দিনের স্ত্রী রাবেয়া বেগম(৬৫)এর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।নিহত রাবেয়া বেগমের সন্তানেরা চাকরির সুবাদে ঢাকায় বসবাস করায় নিজ বাড়িতে একাই থাকতেন তিনি।ওইদিন তার সন্তানরা মোবাইল ফোনে মায়ের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে তার মামাকে জানান।
তিনি ওই বাড়িতে গিয়ে রাবেয়া বেগমের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।এ বিষয়ে রাবেয়া বেগমের ছেলে বাদি হয়ে পীরগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।