আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন,তর্ক-বিতর্ক কীভাবে বন্ধ হবে?যতক্ষণ আপনারা(বিএনপি)বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে গ্রহণ না করবেন ততক্ষণ এ বিতর্ক চলবে।
যতক্ষণ বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপির পাকিস্তান করার যে উদ্দেশ্য ছিল, সেটা ধুয়ে-মুছে শেষ না হয়ে যাবে ততক্ষণ এ রাজনীতি চলবে বলে মনে করেন মন্ত্রী।
শনিবার(৪ সেপ্টেম্বর)একাদশ জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ লিগ্যাল প্রাকটিশনার্স অ্যান্ড বার কাউন্সিল বিল-২০২১ পাসের আগে জনমত যাচাই ও সংশোধনী প্রস্তাবে সংসদ সদস্যরা এ কথা বলেন।
বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে চলমান বিতর্ক বন্ধ করার আহ্বান জানালে এর জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন,উনি(হারুনুর রশীদ)বললেন,প্রধানমন্ত্রী জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় বলেছেন,১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালের ঘটনার ব্যাপারে।
তিনি বলেছেন,প্রধানমন্ত্রী সেখানে বলেছেন,সেদিন আওয়ামী লীগের নেতারা কোথায় ছিল?
স্পিকারকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন,প্রধানমন্ত্রী এই সৎ সাহস দেখিয়েছেন।তিনি এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন,তার মানে তিনি এটা কগনিজেন্সে নিয়েছেন।
কিন্তু বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেছেন বিএনপির ব্যাপারে,যেটা বলেছেন সেটা যদি সত্যি হতো তাহলে আমরা খুশি হতাম।
তিনি উল্লেখ করেছেন,কালুরঘাটে সেদিন যদি খুনি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিতেন এবং সেদিন যদি পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর ওপর গুলি না চালাতেন তাহলে স্বাধীনতা কোথায় থাকতো?
সেটা তিনি উল্লেখ করেছেন।ইতিহাস নাকি অন্যরকম হতো,যারা এখনো এরকম কথা বলে,যারা স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে যখন আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি,
তখন যারা এরকম মিথ্যা বলার ধৃষ্টতা দেখায়,তাদের কি কোনো পরিবর্তন হয়েছে বলে কেউ মনে করেন?’
উনি(হারুনুর রশীদ)যে কথা বলেছেন,জাতিকে ধোঁকা দেওয়া ছাড়া বিএনপির কথাটা যদি উনি বলতেন তাহলে আমি খুশি হতাম।
বিএনপি যেদিন থেকে সৃষ্টি হয়েছে সেদিন থেকেই এই ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে।উনার বক্তব্য সেটারই প্রতিফলন।
স্পিকারকে উদ্দেশ করে আইনমন্ত্রী বলেন,ধরেন খুনি জিয়াউর রহমান যদি মুক্তিযোদ্ধা হতেন।কেউ কী তার হাত চেপে ধরেছিলযে,বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা যাবে না?
কেউ তার হাত চেপে ধরছিল যে,২৬ সেপ্টেম্বর যে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স পাস হয়েছিল এটা বাতিল করা যাবে না?
এরকম তো কেউ করে নাই?তো উনি এই বিচারটা করলেন না কেন? এই বিচার ২১ বছর পরে করতে হলো কেন?’
তিনি বলেন,আজ বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেছেন,এই তর্ক-বিতর্ক বন্ধ হোক।তর্ক-বিতর্ক কীভাবে বন্ধ হবে?যতক্ষণ আপনারা বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসেবে গ্রহণ না করবেন।
আপনারা গ্রহণ করেন আর না করেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তাতে কিছু যায় আসে না।তার কারণ তিনি সত্যি সত্যি জাতির পিতা,বাঙালি জাতি সেটা জানে ও সেটা ধরে রাখবে।
সুতরাং এই বিতর্ক চলবে যতক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজনীতিতে পাকিস্তান করার বিএনপির যে উদ্দেশ্যে ছিল,সেটা ধুয়ে-মুছে শেষ না হয়ে যাবে,ততক্ষণ এই রাজনীতি চলবে।
বিডি//নিজস্ব প্রতিবেদক দৈনিক তোকদার নিউজ.কম এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ,তথ্য,ছবি,আলোকচিত্র,রেখাচিত্র,ভিডিওচিত্র,অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।